Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লা লিগায় কোন দলে কেমন প্রভাব পড়বে?

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৩৯ পিএম

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাব ক্রীড়াঙ্গণে জোড়েশোরেই পড়েছে। স্প্যানিশ লা লিগাও এর বাইরে নয়। তবে স্পেনের এই শীর্ষ ফুটবল লিগে সব ক্লাব সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। দেশটির জনপ্রিয় ক্লাবগুলোর আয়ের বেশিরভাগ অংশ আসে টিকিট ও মার্চেন্ডাইন্ডস বিক্রি, স্টেডিয়াম ও মিউজিয়াম ভ্রমন থেকে। যার কোনটাই বর্তমানে অবস্থাদৃষ্টে সম্ভব নয়।
এরপর প্রশ্ন আসে টেলিভিশনের অর্থ প্রসঙ্গে। ক্লাবগুলো এই মুহুর্তে যেকোন ক্রমে লিগ শেষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, যাতে ক্ষতির ধাক্কায় কিছুটা লাগাম টানা যায়।

দুটি পন্থা :

অবস্থাদৃষ্টে স্পেনে এখন দু’টি উপায় খোলা, মৌসুম শেষ করা অথবা না করা।

আমরা জানি এ মুহুর্তে সঠিকভাবে ক্লাবগুলোর পক্ষে অর্থনৈতিক সমীক্ষা মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। যদি এই মৌসুমের পুরোটাই ক্লোজস ডোরে সম্পন্ন করতে হয়, সেক্ষেত্রে ক্লাবগুলো টেলিভিশনের অর্থ পাবে কিন্তু কিন্তু হারাবে টিকিট বিক্রি বাবদ আয়।

কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ?

এককথায় বলতে গেলে বার্সেলোনা। কাতালান ক্লাবটি লা লিগায় বর্তমানে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দল। এ কারণেই তারা খেলোয়াড়দের বেতন কর্তন করেছে। বর্তমানে তাদের ব্যবস্থাপনা ভালো। তবে যখন এই প্রক্রিয়া শেষ হবে, কিছু ক্লাব সম্পদের পরিমানে বার্সোলোনাকে পেছনে ফেলবে।

সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি কার?

এই দুর্যোগকালিন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ কয়েক মৌসুমে ক্লাবটি অর্থ খরচে সঞ্চয়ী ছিল। যদিও এমন পরিস্থিতি তাদের প্রত্যাশিত ছিল না, কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থা বেশ শক্ত। অন্যদিকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসর এখনও শেষ হয়নি। এটা প্রত্যেকের জন্যই অপ্রত্যাশিত।

এইবার, সেল্ট ভিগো এবং লেগানেসের মতো ক্লাবগুলো অর্থনৈতিকভাবে অন্য ক্লাবগুলোর চেয়ে বেশি শক্তিশালি। ট্রান্সফার উইন্ডোতে খেলোয়াড় কেনা-বেচার ক্ষেত্রে তাদের বাজেট বেশ নমনীয়। আবার, অ্যথলেটিক ক্লাব, ভিলারিয়েল, সেভিয়া ও রিয়াল সোসিয়াদাদও সাবলীলভাবে চলতে পারবে। রিয়াল মালারোকা এবং ওসাসুনা এই ক্রান্তিকালিন সময়ে বড়সড় কোন সমস্যা দেখা না দিলে চলতে পারবে স্বাভাবিক গতিতে।

শক্তিশালি মিডল ক্লাস

গেটাফে, রিয়াল বেতিস, গ্রানাডা, লেভান্তে, আলাবেস এবং রিয়াল ভালাদোরিদ এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সমস্যায় পড়তে পারে। দারা প্রত্যেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো পাবে যদি এ মৌসুম সাধারনভাবে শেষ হয়। বর্তমানে তারা খেলোয়াড়দের বেতনও কাটার পরিকল্পনা করেছে। যেসব ম্যাচ খেলা হবে না, সে ম্যাচের অর্থ দেয়া হবে না খেলোয়াড়দের।

ঝুঁকিতে বেশি কারা?

বার্সেলোনা, অ্যতলেটিকো মাদ্রিদ, ভ্যালেন্সিয়া এবং এস্পানিওলের সামনে সবচেয়ে বেশি সমস্যা। তাদের স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা যথেষ্ঠ ব্যয়বহুল। আবার তাদের ঋণের পরিমানও বেশি। এরা কেউই ঝুঁকিমুক্ত নয়। একে তো তাদের দেনা বেশি, অন্যদিকে আয়ের খাতও শূন্য। এতে তাদের সার্বিকভাবে সামঞ্জস্যতা হারিয়েছে।

তারা এখন অন্যদের মতোই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে তাদের আয়ের নিশ্চয়তা নেই।

মৌসুম শেষ না হলে কি হবে?

যেসব ক্লাব টেলিভিশনের আয়ের উপর খুব বেশি নির্ভরশীল যেমন-ওসাসুনা, মালারোকা, ভিলারিয়েল, সেভিয়া এবং রিয়াল সোসিয়াদাদ, তারা অন্যদের তুলনায় খুব বেশি আক্রান্ত হবে। আলাবেস ও ভালাদোরিদ-যাদের দেনার পরিমান বেশি, তারাও মৌসুম সমাপ্ত না হলে বেশ সমস্যায় পড়বে। স্কোয়াড সাজানোতে বেতিস, গেটাফে, গ্রানাডা ও লেভান্তে ছিল সঞ্চয়ী। তাই মৌসুম বাতিল হলেও তাদের প্রভাব থাকবে কম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ