বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈনুদ্দিনের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. মঈন মারা যান। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ তার গ্রামের বাড়িতে এসে ভিড় করেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন।
সিলেটের ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের নাদামপুরের সন্তান ডা. মঈন এলাকায় ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
জানা গেছে, এই চিকিৎসক গরিব রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দিতেন। দুস্থ-অসহায় মানুষের কাছে তিনি ছিলেন আপনজন। দূরদূরান্তে রোগীদের বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে এবং নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেয়ার কারণে তাকে গরিবের মঈনুদ্দিন ডাক্তার বলা হতো। এ ছাড়া ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সবসময় তিনি মানুষকে সৎপথে চলার উপদেশ দিতেন।
সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালে ডা. মঈনের ব্যক্তিগত চেম্বারেও গরিব রোগীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।
ডা. মঈনুদ্দিনের মৃত্যুতে ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম হিরণ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রেজাউল করিম রেজা, অর্থ সম্পাদক আতিকুর রহমান মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জুনাইদ আহমদ জুনেইদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, সদস্য মোশাহিদ আলী, নাজমুল ইসলাম, হেলাল আহমদ, আরিফুর রহমান মানিক, সাংবাদিক অলিউর রহমান, হাসান আহমদ, আজিজুর রহমান শোকাহত পরিবারের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন।
গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় ডা. মঈনুদ্দিনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর অবস্থার অবনতি হলে ৭ এপ্রিল শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয় তাকে।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন আজ মৃত্যুবরণ করলেন মেডিসিন ও হার্ট স্পেশালিস্ট ডা. মঈনুদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।