মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমেরিকায় মানুষরা তাদের বাড়িতে থাকার আদেশের মুখোমুখি হওয়ায় এবং করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধ করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে বার ও রেস্তোঁরা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মদ বিক্রিও কমে গেলেও বেড়েছে চাহিদা। সবাই এখন ইন্টারনেট ও মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসেই মদের অর্ডার দিচ্ছেন।
যক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল ডেলিভারি অ্যাপ্লিকেশন ড্রাইজলি জানিয়েছে যে, মার্চের শেষ সপ্তাহে তাদের বিক্রি অনেক বেড়ে গিয়েছে। কোম্পানির প্রত্যাশার থেকেও বেশি ছিল বিক্রির পরিমাণ। গত চার সপ্তাহে তাদের বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যা ৫৩৭ শতাংশ বেশি ছিল।
এই অ্যাপে 42 শতাংশ অর্ডারই এসেছিল নতুন অ্যাকাউন্ট থেকে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, তাদের এই প্ল্যাটফর্মে নতুন ক্রেতা সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৯০০ শতাংশ বেড়েছে। (তবে সংস্থাটি তাদের সঠিক আয় বা ব্যবহারকারীর সংখ্যা জানাতে রাজি হয়নি)।
গত সপ্তাহে ইয়াহু ফিনান্সকে ড্রাইজলির সিইও করিলি রিল্লাস জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গত ৯০ বছরেও মদ বিক্রির পরিমাণ বা চাহিদা কমেনি। আমরা যা দেখেছি তা হলো বার লকডাউনের ফলে বার ও রেস্তোঁরাগুলো থেকে মদের বাজার ঘরে ঘরে স্থানান্তরিত হয়েছে।’
ড্রাইজলি অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং ওয়েবে পাওয়া যায়। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২,২০০ টিরও বেশি খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিয়ার, ওয়াইন এবং অন্যান্য অ্যালকোহল নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ড্রপ-অফের মাধ্যমে গ্রাহকদের পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে। সংস্থাটি বলেছে যে, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যোগাযোগহীন সরবরাহ করার নতুন উপায় নিয়ে আসতে তারা খুচরা অংশীদারদের সাথে কাজ করছে।
তবে কেবল ড্রাইজলিই নয় যারা লকডাউনের মধ্যে অ্যালকোহল বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। গবেষণা সংস্থা নীলসেনের মতে, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের বিক্রির পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র: ইয়াহু নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।