Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে করোনার বিস্তার

শিশুসহ নিহত ২ হাসপাতালে ১২ জন

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ পিএম | আপডেট : ১২:০৭ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। রোববার রাতে
আক্রান্ত প্রথম শিশু মারা গেছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে দুই জনের মৃত্যু হলো।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও
ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে চিকিৎসাধীন আছেন ১২ জন।
আক্রান্তদের কারণে চিকিৎসক, নার্স সহ কয়েক হাজার মানুষ কোয়ারেন্টাইনে। লকডাউন করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর। দামপাড়া ট্রাফিক পুলিশের ২২৫ সদস্যসহ একটি ব্যারাক,  ব্যাংকের শাখা,  সুপার শপ লকডাউন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ঘরে থাকা নিশ্চিত করা না গেলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরো বাড়তে পারে। এমন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।

গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম ও লক্ষ্মীপুরে ছয়জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এছাড়া আগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় আবারও সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ রোববার চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষায় ছয়জনের সংক্রমণের বিষয়টি শনাক্ত হয়।

এ নিয়ে সেখানে  ১৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একজন মৃত। এছাড়া ১৬ জনের মধ্যে দুজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।


চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, রোববার মোট ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নতুন ছয়জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সবাই পুরুষ।

এদের মধ্যে একজনের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে, বয়স ৪৫। সাতকানিয়া উপজেলায় দুজনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গেছে, বয়স ১৭ ও ৩২ বছর। পটিয়া উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক শিশু আক্রান্ত হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য  আক্রান্ত হয়েছেন, বয়স ৬৫। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে ৫২ বছর বয়সী একজন আক্রান্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়ায় প্রথম যে ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল, তৃতীয়বার নমুনা পরীক্ষায়ও তার শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে গত ২৬ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত শুরু হয়। এ পর্যন্ত সেখানে ৬৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
৩ এপ্রিল নগরীর দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী একজন কভিড-১৯ রোগি শনাক্ত হয়। দুইদিন পর  তার ছেলের শরীরেও করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

গত ৮ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে আরও তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে একজন নারী ও ২ জন পুরুষ। এরপর ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারের একজন কাঠ ব্যবসায়ী এবং আরেকজন নগরীর পাহাড়তলী থানার ঝোলারহাট কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতার করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।

১১ এপ্রিল সাতকানিয়ার একজন মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এছাড়া নগরীর পাহাড়তলী থানার সিডিএ মার্কেট এলাকায় একজন এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে একজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
প্রথম আক্রান্ত দামপাড়ার পিতা পুত্রের বিদেশ ফেরতের সংস্পর্শে আসার তথ্য আছে।  মারা যাওয়া আশরাফুলের হংকং ফেরত চাচার সংস্পর্শে আসার তথ্য আছে।
সীতাকুণ্ড ও সাতকানিয়ার আক্রান্ত দুই জন নারায়ণগঞ্জ ফেরত। অলংকার এলাকায় আক্রান্ত পোশাক কারখানার কর্মকর্তারও ঢাকা আসা যাওয়ার তথ্য জানা গেছে। বাকিরা সামাজিক সংক্রমণের শিকার বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
১০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ