Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের লাশ কবর থেকে তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪০ পিএম

আপত্তির মুখে বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের লাশ ভোলার পরিবর্তে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তার শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকায় শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে বৈরী আবহাওয়ায় তার লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনির লাশ সোনারগাঁওয়ে দাফন করার খবর সকালে জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোনারগাঁওয়ে মাজেদের লাশ দাফন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ ও লাশ অপসারণের দাবি জানান।
মাজেদের লাশ অপসারণ না করা হলে কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি। ইউএনওর সঙ্গে দেখা করে বিকাল ৩টার মধ্যে লাশ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ওসমান গনি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জামান মোল্লা জানান, সোনারগাঁওয়ের পবিত্র ভূমিতে খুনি মাজেদের লাশ রাখতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রশাসন এগিয়ে না এলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কবর থেকে লাশ তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে।
এদিকে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুন ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যাকারী খুনি মাজেদের কবর সোনারগাঁওয়ের মাটিতে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তারা বলেন, খুনি মাজেদের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকায়। আমরা জানি সেখানে তার লাশ দাফন করার কথা। এটি কীভাবে এখানে এনে দাফন করা হলো? কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেটি খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
‘আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, এই খুনির লাশ যেন সোনারগাঁও থেকে দ্রুত অপসারণ করা হয়। অন্যথায় সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিলে তার লাশ কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেব।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ