বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম-সিলেটবাসীকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চিকিৎসক আবদুল মাবুদ চৌধুরী (ফয়সাল)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ডা. ফয়সাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কৃতিছাত্র। জন্মস্থান হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ হলেও শিক্ষাজীবন এবং নিকটাত্মীয়তা সূত্রে চট্টগ্রামের সঙ্গে তার ছিল আজীবন আত্মার সম্পর্ক।
আর তাই এমন অপ্রত্যাশিত খবরে তার বন্ধু-বান্ধব, ব্যাচমেট এবং পরিচিতজনেরা শোকে-বেদনায় মুহ্যমান। গতকালও চমেক হাসপাতাল ক্যাম্পাসজুড়ে শোকের আকুলতা ফুটে উঠে সবার মনভাঙা আলাপচারিতায়।
চমেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. শামীম হাসান ও ভাউস-প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, ডা. ফয়সাল চমেকের কৃতি ছাত্র ছিলেন, ছাত্র সংসদের সমাজসেবা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস করে ১৯৮৬ সালে চমেকে ভর্তি হন ডা. ফয়সাল। এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৯২ সালে। তাছাড়া তিনি চট্টগ্রামের শহীদ শেখ মোজাফফর আহমদের নাতনি জামাই। পাস করার কিছুদিন পর তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান।
ব্রিটেনে খ্যাতিমান চিকিৎসক ডা. ফয়সাল বাংলাদেশি বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রামের মানুষের নিকট ছিলেন প্রিয়মুখ। ব্রিটেনের হোমারটনে হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। তার স্ত্রীও ডাক্তার। উভয়েই করোনায় আক্রান্ত হন। স্ত্রী সেরে উঠলেও তার অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে। ৮ এপ্রিল রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর আগে করোনা চিকিৎসা সেবারতদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হৃদয়ছোঁয়া এক খোলা চিঠি দিয়ে তিনি সবার নজর কাড়েন। ডা. ফয়সালের মৃত্যুর খবরটি গত বৃহস্পতিবার থেকেই ব্রিটিশ গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে উঠে আসছে বারেবারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।