Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সময় বাড়ানোর পক্ষে আজহারও

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৪২ পিএম

কভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবে পিছিয়ে গেছে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ ও বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের একটি টেস্ট। স্থগিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর। ঝুলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফরের ভাগ্য। আগামী ৩০ জুলাই শুরু হওয়ার কথা ইংল্যান্ড-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এদিকে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। এই সিরিজের ভাগ্যও তাই ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে পাকিস্তান দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল হকের সঙ্গে সুর মেলালেন অধিনায়ক আজহার আলিও। করোনাভাইরাসের ছোবলে একের পর এক টেস্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সব দলকে সমান সুযোগ দিতে প্রতিযোগিতাটির সময় বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।

২০২১ সালের জুনে লর্ডসে হওয়ার কথা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। পরিস্থিতি বিবেচনায় তা পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে আজহার। ভিডিও কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এমনটি জানান ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হচ্ছে, সূচি অনুযায়ী সদস্য দলগুলোর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো শেষ করা কঠিন হবে। তাই আশা করি, আইসিসি এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়াবে, যেন সব সদস্য দেশ তাদের ম্যাচগুলো শেষ করতে পারে। সেটাই ঠিক হবে।’

দর্শকশূন্য মাঠে ক্রিকেট ফেরার পক্ষে মত দিয়েছেন অনেকেই। পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়কও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে খালি গ্যালারিতে খেলার পক্ষে কথা বললেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে ক্রীড়ানুরাগীরা কোনো খেলাই দেখতে পারছে না, এমনকি টিভিতেও। দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হলে তা অন্তত কিছু ক্রিকেট দেখার সুযোগ করে দেবে। তবে মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আপোষ করা উচিত হবে না।’ এ মাসের শুরুতে একইরকম কথা বলেছিলেন মিসবাহ। পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২১ সাল পার হলেও নতুন সূচিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক, ‘টুর্নামেন্টের (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ) সময় বাড়ানো উচিত, এটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি। ভারসাম্য রেখে আসরটি শেষ করার এটাই একমাত্র উপায়। টুর্নামেন্টের সময় বাড়ানো হলে ম্যাচগুলোর সূচি পুনরায় করা যাবে।’

সবশেষ প্রকাশিত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান আছে সাত নম্বরে। গেল মার্চে সবশেষ প্রকাশিত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছে ভারত। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১১৬। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সপ্তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট ৮৫। এই হতাশাজনক অবস্থা থেকেও উত্তরণ চান আজহার আলি। আর লক্ষ্য পূরণে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার ওপর জোর দিচ্ছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ‘আমার পরিকল্পনা হলো ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা। লক্ষ্যটি হলো নিজেদের টেস্টের অন্যতম সেরা দল হিসেবে প্রমাণ করা। আর সেজন্য আমাদের ঘরে এবং বিদেশের মাটিতে উভয় সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করতে হবে। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী সিরিজগুলোতে আমাদের নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। কারণ, এক নম্বর দল হওয়ার দিকে এগিয়ে যেতে এটি দারুণ একটি পদক্ষেপ হবে।’

ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললে পাকিস্তানের শীর্ষে ওঠা কেউ আটকাতে পারবে না বলেও মনে করেন আজহার, ‘আমরা যদি কেবল ঘরের মাঠে জিতি, তবে আমরা এক নম্বর টেস্ট দল হতে পারব না। আমাদের বিদেশের মাটিতেও অসাধারণ ফল করতে হবে। প্রত্যেক খেলোয়াড় যদি নির্ভীক ক্রিকেট খেলেন, নিজের দায়িত্ব পালন করেন এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স উপহার দেন, তাহলে লক্ষ্য পূরণ করা থেকে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ