লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন চন্ডিপুর গ্রামে হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্যবান্দব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি দরে কার্ডধারী হতদরিদ্রদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করার কথা থাকলেও ডিলার কার্ডবিহীন ২৯বস্তা চাল অন্যত্রে বস্তাপ্রতি ৫শ টাকা করে বিক্রি করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে রামগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ও এনএসআই কর্মকর্তারা ফতেহপুর গ্রামের দর্জি বাড়ীসহ তিনটি বাড়ী থেকে ৭বস্তা চাল উদ্ধার করে।
ডিলার আবুল কাশেম জানান, আমরা তালিকা অনুযায়ী গত কয়েকদিন থেকে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করলেও ৩০জন কার্ডধারী হতদরিদ্র লোক চাল নিতে আসেনি। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া হতদরিদ্রদের নতুন আরেকটি তালিকা অনুযায়ী চাল বিক্রি করার কথা বললে আমি তা পালন করি। ৩শ টাকার স্থলে কেন ৫শ টাকা করে নেয়া হয়েছে তার কোন সদুত্তোর দেননি।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক মানিক চন্দ্র দে জানান, খবর পেয়ে আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের দর্জি বাড়ীর মিলন, বাবুল, স্বপন, বসাজী মোল্লা বাড়ীর মোঃ বাবুল, ইউসুফ ও নোয়াবাড়ীর মোঃ হোসেনসহ ৭টি ঘর থেকে প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের ৭বস্তা চাল জব্দ করা করেছি। রামগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে জব্দকৃত চালের বস্তাগুলো খাদ্যগুদামে নেয়া হয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, কার্ডধারী কেউ যদি চাল নিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা মৃত্যুজনিত কারনে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না নেয় সেক্ষেত্রে ঐ কার্ডধারী ব্যক্তিদের স্থানে নতুন করে অসহায় হতদরিদ্রদের নাম প্রতিস্থাপন করা যায়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট ডিলার এ ব্যপারে আমাদের কিছু না জানিয়ে চালগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ব্যপারে আমরা ডিলারের ডিলারশীপ বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।