Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত কাজীপুরের দুর্গম চরাঞ্চল

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে সৌর বিদ্যুতের সুবাদে অনেক এলাকা আলোকিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠান ও বাসগৃহে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারের ফলে দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়েছে এবং সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টিনের চালায় বা ছাদে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল লাগানো হচ্ছে। সূর্যের আলো থেকে সোলার প্যানেল ব্যাটারি চার্জে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। বাড়ির যে কোন খোলা জায়গা বা উঁচু স্থানে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় সূর্যের আলো বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়ে ব্যাটারিতে সঞ্চয় হতে থাকে এবং চার্জ নিয়ন্ত্রণ দ্বারা ব্যাটারির মধ্যে বিদ্যুতের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রতিটি সৌর বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপন করতে ৮ থেকে ৩৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এককালীন কিছু টাকা ও পরে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। কাজিপুরের নিশ্চিন্তপুর ও তেকানী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকায় জনগণ বিদ্যুতের পরিবর্তে সৌর বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। নিশ্চিন্তপুর ও তেকানী ইউনিয়নের মোতাহার হোসেন, আনিছুর রহমান, জামাল, আমজাদ, সিদ্দিক হোসেন, সোহাগ রানা, সিহাব উদ্দিন, রিনা খাতুন, জাহিদ হাসান, দুলাল হোসেন, আলাল হোসেন ও রুপালী খাতুন জানান, গ্রামীণ আলো সোলার থাকার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়ে অনেক রাত পর্যন্ত লেখা-পড়া করে পারে। গ্রামীণ আলো সোলার সিস্টেমের নিশ্চিন্তপুর শাখার কো-অর্ডিনেটর আলমগীর হোসেন জানান, চর এলাকায় ১০০০ হাজার সৌর বিদ্যুতের প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। আরো অনেক প্যানেলের প্রস্তাব আছে। ফলে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধা এবং লোডশেডিংয়ের ঝামেলা থেকে মানুষ রক্ষা পেয়েছে এবং সৌর বিদ্যুৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
দাদনে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে দাদন ব্যবসা জমে উঠেছে। গ্রামে গ্রামে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র, কৃষক, শিক্ষক-কর্মচারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভাবকে টার্গেট করে চড়া সুদে মহাজনরা লাখ লাখ টাকা বিতরণ করছেন। মহাজনদের এ দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কাজিপুর পৌরসভা ও সোনামুখী, চালিতাডাঙ্গা, গান্ধাইল, শুভগাছা, কাজিপুর সদর, মাইজবাড়ী, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ ও মনসুর নগর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে দাদন ব্যবসা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগতভাবে সমিতির মাধ্যমে সংঘবদ্ধভাবে আবার এককভাবে প্রভাব খাটিয়ে এক শ্রেণির লোক অধিক লাভের আশায় গ্রামে চড়া সুদের দাদন ব্যবসার ফাঁদ পেতে বসেছে। প্রতি হাজারে মাসিক ৩০০ টাকা চুক্তিতে স্বাক্ষর রেখে দাদনে টাকা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ প্রক্রিয়ায় লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করছে প্রত্যেক মহাজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত কাজীপুরের দুর্গম চরাঞ্চল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ