Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের মাত্র ৬% শনাক্ত করা হয়েছে : গবেষণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ৪:০৪ পিএম

বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো করোনা আক্রান্তের যে আনুষ্ঠানিক সংখ্যা প্রকাশ করছে প্রকৃত সংখ্যা তার থেকে অনেক অনেক বেশি। পৃথিবীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এরইমধ্যে কোটি ছাড়িয়েছে।
সেন্ট্রাল জার্মানির গ্যোটিংগেন ইউনির্ভাসিটির দুই গবেষক ক্রিস্টিয়ান বোমার ও সেবাস্টিয়ান ভল্মের মাসিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস' এ সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি গবেষণাপত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করেন।
তারা করোনা আক্রান্তের আনুষ্ঠানিক রেকর্ড কতটা ঠিক সেটা মূল্যায়ন করতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু এবং সংক্রমিত হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মাঝের সময় নিয়ে হিসাবনিকাশ করেন। ওই হিসাবে আমরা দেখতে পাই, পৃথিবীজুড়ে দেশগুলো গড়ে মোট আক্রান্তের মাত্র ছয় শতাংশকে শনাক্ত করতে পেরেছে।
"আসলে করোনা সংক্রমণের মোট সংখ্যা এরইমধ্যে কোটি ছাড়িয়েছে। তাই সরকার বা নীতিনির্ধারকদের করোনা সংক্রমণের সংখ্যার ভিত্তিতে কোনো পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে চরম সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।”
বিভিন্ন দেশে টেস্টের পরিমাণ এবং টেস্টের ফলের গ্রহণযোগ্যতার মধ্যেও বিস্তর পার্থক্য আছে বলে সতর্ক করেন অধ্যাপক ভল্মের। বলেন, "আনুষ্ঠানিক এসব তথ্য খুব একটা সাহায্য করতে পারবে না।”
দুই গবেষক হিসাব করে বলেন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত জার্মানিতে হয়তো চার লাখ ৬০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে হয়তো মোট সংক্রমণ এক কোটি ছাড়িয়েছে, স্পেনে ৫০ লাখের বেশি, ইতালিতে ৩০ লাখের বেশি এবং যুক্তরাজ্যে ২০ লাখের মত মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। অথচ, জনস হপকিন্স ইউনির্ভাসিটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে নয় লাখের মত মানুষের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বা তাদের চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে গবেষকরা বলেন, অপর্যাপ্ত এবং দেরিতে টেস্ট করানোর কারণেই হয়তো ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের মত ইউরোপের কয়েকটি দেশে জার্মানির তুলনায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর হার এত বেশি। তাদের হিসেব অনুযায়ী, জার্মানি তাদের মোট আক্রান্তের প্রায় ১৬ শতাংশকে শনাক্ত করতে পেরেছে।
সেই তুলনায় ইতালি মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্পেন ১ দশমিক ৭ শতাংশ সংক্রমণ শনাক্ত করেছে। তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র (১.৬%) এবং যুক্তরাজ্যে (১.২%) শনাক্তের হার আরো কম।
গবেষকরা দেশগুলোকে ব্যাপক হারে টেস্ট বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, শনাক্তের পর নতুন রোগীদের আইসোলেশনে রাখতে হবে এবং তাদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের খুঁজে বের করতে হবে। “যদি দেশগুলো এটা করতে ব্যর্থ হয় তবে হয়তো দীর্ঘ সময় ধরে ভাইরাসটি লুকিয়ে রয়ে যাবে এবং যেকোনো সময় আবার প্রদুর্ভাব ঘটবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ