Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

সামরিক সদর দপ্তর সরকার অনুগত বাহিনীর দখলে

তুরস্কে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান নিয়োগ, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ৭৫৪ সেনা আটক

প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:১৮ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে সরকার সমর্থিত বাহিনী সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা শনিবার জানান, রাতভর অভ্যুত্থান চেষ্টার পর বিরোধী বিদ্রোহীরা সামরিক বাহিনীর কিছু হেলিকপ্টার নিয়ে দ্রুত পলায়ন করেছে। ওই কর্মকর্তা জানান, তবে তারা কোন জঙ্গি বিমান তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট ভবনেও হামলা চালিয়েছিল। দ্বিতীয় আরেক কর্মকর্তা বলেন, অভ্যুত্থান চেষ্টার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ২৯ জন কর্নেল ও ৫ জন জেনারেলকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। 

অপর খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থান চেষ্টার একদিন পার না হতেই ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান নিয়োগ করেছে তুরস্ক। দেশটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তুরস্কের স্থলবাহিনীর একটি অংশ ফার্স্ট আর্মির প্রধান উমিত দুন্দারকে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমান সেনাপ্রধান কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো খোঁজ পাওয়া পাচ্ছে না। স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সেনাপ্রধানকে জিম্মি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে। এর কয়েক ঘণ্টা পর উপকূলীয় শহর মারমারিস থেকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। এ সময় সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে রাখেন। ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, বর্তমান সেনাপ্রধান হুলুসি আকারের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এদিকে অভ্যুত্থান চেষ্টার পর সকালে তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারায় সরকার সমর্থকদের রাস্তায় নামার খবর পাওয়া গেছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় রাজধানী আঙ্কারায় গুলিতে ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
বার্তাসংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত ৭৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাতোলিয়ার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়। একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলছেন, সেনাবাহিনীর ২৯ জন কর্নেল ও পাঁচজন জেনারেলকে অপসারণ করা হয়েছে। অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় সহিংসতায় নিহত হয়েছে ৬০ জন। গত শুক্রবার গভীর রাতে তুর্কি সেনাবাহিনীর একাংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) শত শত সমর্থক রাস্তায় নামে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলে আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে। আকাশে উড়তে থাকে যুদ্ধবিমান। প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিমান হামলা ও পার্লামেন্টের কাছে বিস্ফোরণ হয়। তবে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন এরদোগান। এর মধ্যেই দেশটিতে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে উমিত দুনদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেশটির এনটিভি টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, বেশ কিছু সেনা ইস্তাম্বুলের বসফোরাস সেতুতে আত্মসমর্পণ করছে। রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ