Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ কোয়ারেন্টিনমুক্ত হচ্ছেন খালেদা জিয়া

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব স্থবির। এরই মধ্যে ২৫ মাসের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর গত ২৫ মার্চ মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে উঠেন গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়।

করোনাভাইরাসের কারণে ওইদিন থেকেই তিনি আছেন কোয়ারেন্টিনে। ২৫ মার্চ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়ার পর বিএসএমএমইউ’র প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, কোয়ারেন্টিনের সময় শেষ হলে পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, তিনি মুক্ত হলেও এখনো কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে তাঁর সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছেন নার্স। এছাড়া ফিরোজাতে যে আত্মীয়-স্বজনরা রয়েছেন তারা ৫-৬ ফিট দূরত্বে থেকে কথা বলছেন। এক প্রকার একা একাই দিন কাটছে তার। সেই কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ রাত ৯টায়। এরপর হয়তো চিকিৎসকরা আবারও তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।

বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের কোয়ারেন্টিন শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায়। এই সময়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। নার্স ছাড়া আর কাউকে তাঁর পাশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। স্বজন ও দলের নেতাকর্মী সকলকেই নিষেধ করা হয়েছে ম্যাডামের থেকে দূরত্ব মেনে চলার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন কেমন আছে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, শারীরিকভাবে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। যে মানুষটি পায়ে হেঁটে আদালতে গিয়েছিলেন তিনি এখন ঠিকমতো বসেও থাকতে পারেন না। পা তুলে হাঁটবেন সেই অবস্থাটাও নাই। তাঁর শারীরিক যে অসুস্থতা এটা দ্রুত সেরে ওঠার বিষয় না, অনেক সময় লাগবে।

পরিবার ও চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সার্বিক বিষয় এখন দেখভাল করছেন তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। তিনি চিকিৎসকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কোয়ারেন্টিনমুক্ত হওয়ার পর কিভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানানো হয়।

বেগম জিয়ার একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানান, ম্যাডাম কালকে (আজ) কোয়ারেন্টিনমুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারণে দেশের যে অবস্থা এই অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা, শারীরিক অসুস্থতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিভাবে করা হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। উনার (খালেদা জিয়া) কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পর উনার সাথে এবং ডা. জোবায়দা রহমানের সাথে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। একই সাথে আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে যে, তিনি ভীষণ অসুস্থ।

বর্তমানে কিভাবে চিকিৎসা চলছে জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক আরও জানান, আপাতত বিএসএমএমইউ’র দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে অসুস্থতার কারণে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকার ৬ মাসের সাজা স্থগিত করলে গত ২৫মার্চ তিনি কারামুক্ত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২৫ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ