নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত বছরের জুলাইয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান মোহাম্মদ আমির। সাদা বলের ক্যারিয়ার বড় করতে আমির টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ায় আমির ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিগুলো নিয়মিত খেলতে পারছেন। তাকে অনুসরণ করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ। সেপ্টেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ‘অনির্দিষ্ট বিরতি’ নিয়েছেন ওয়াহাব। খেলেননি ঘরের মাঠে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। ওয়াহাব রিয়াজের বয়স ৩৫। আমিরের বয়স মাত্র ২৮।
সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া আমির ও ‘অনির্দিষ্ট বিরতিতে’ যাওয়া রিয়াজের কড়া সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস।
চার মাসের ব্যবধানে দুই বাঁহাতি পেসার টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ায় পাকিস্তানকে বেছে নিতে হয়েছে নতুন পেস অ্যাটাক। তৈরি করতে হচ্ছে নতুন পেসারদের। অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাক নিয়ে ভুগছে দল। শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ মুসাদের নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে পাকিস্তান। তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন সময়। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে সেই সুযোগটি কম। অভিজ্ঞ কেউ না থাকায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখন মহা ঝামেলায়!
আমির ও ওয়াহাব পাকিস্তানের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছেন বলে মনে করছেন ওয়াকার,‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে হুট করে তারা চলে গেল, ‘প্রতারণা’ করল। তাতে আমাদেরকে নতুন পেসারদের নিয়ে মাঠে নামতে হল। তখন আমরা নতুন কোচিং ম্যানেজমেন্ট। সিদ্ধান্ত নিলাম আমরাই তরুণদের তুলে আনব।’
ওয়াকার আরও বলেন, ‘যারা খেলতে চায় না তাদেরকে আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব না এটা ঠিক। কিন্তু ন্যুনতম দায়িত্ব একজন পেশাদার ক্রিকেটারের থাকে। বোর্ডের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে। শেষ মুহূর্তে নিয়মিত কারো অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে কষ্ট বাড়াবে।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমি আপনি সবাই জানি এখন বৈশ্বিক ক্রিকেটে একটা সমস্যা হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে টি-টোয়েন্টি লিগ হচ্ছে এবং আমির-ওয়াহাবের মতো খেলোয়াড়রা সেখানে অংশগ্রহণের জন্য মুখিয়ে থাকে। চার ওভার বোলিং করে, প্রচুর অর্থ আয় করে। তাতে স্বস্তি খুঁজে পান। কিন্তু এটা বোঝে না যে এতে দেশের ক্ষতি করছে।’
৩৬ টেস্টে ৩০.৩৭ গড়ে ১১৯ উইকেট নিয়েছেন আমির। তার টেস্ট ক্যারিয়ার দুই ভাগে বিভক্ত। ২০০৯ সালে ১৭ বছর বয়সে অভিষেক। এরপর মাত্র ১৪ টেস্টে ২৯.০৯ গড় ৫১ উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে আমির নিষিদ্ধ হন পাঁচ বছর। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ফিরে ২২ টেস্টে ৬৮ উইকেট পেয়েছেন এ বাঁহাতি। কিন্তু হুট করে গত বছর আমির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যান। আমিরের মতোই টেস্ট ক্যারিয়ার বেশ ইর্ষণীয় ওয়াহাবের। ২৭ টেস্টে ৩৪.৫০ গড়ে ৮৩ উইকেট নিয়েছেন এ পেসার।
দুজনেরই সাদা বলের ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন ওয়াকার,‘হ্যাঁ তারা ভুল সময়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু তাদের নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ থাকা উচিত না। আমি এখনও মনে করি সাদা বলের ক্রিকেটে দুজনের অনেক কিছু দেওয়ার আছে। কিন্তু আমাদের এখন অনেক পেসার আছে। পিএসএল থেকে ভালোমানের পেসার পেয়েছি। তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।