প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চিত্রনায়িকা পপি ও চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম দেশের এই দুর্যোগে ভীষণ মানবিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই দুই নায়িকার সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে সবাই বেশ প্রশংসাও করছেন। কিছুদিন আগে নিজের গ্রামের বাড়ি খুলনাতে বেড়াতে গিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। সেখানে গিয়ে ক’দিন থাকার পর তার রাজধানীতে ফিরে আসার কথা। কিন্তু পারলেন না আর ফিরতে। করোনা ভাইরাসের কারণে তাকে সরকার ঘোষিত নির্ধারিত ছুটির পুরোটা সময়ই তাকে খুলনাতে থাকতে হচ্ছে। অবশ্য বাবা, মা, ভাই বোন সবাই খুলনাতে আছেন বিধায় খুলণাতে সময়টা কাটছে তার বেশ দারুণ। নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে খুব বেশি সময় দেয়া উঠেনা পপির। কিন্তু এখন প্রতিদিনই নিজের মনের মতো সময় দিতে পারছেন। তবে করোনা ভাইরাস’ থেকে খুলনায় সাধারন মানুষ যেন সাবধানের থাকেন সেজন্য পপি তার আশেপাশের এলাকার মানুষকে সবসময়ই সচেতন থাকতে বলছেন। আবার সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার’সহ আরো বেশকিছু জিনিস নিজের উদ্যোগেই বিতরণ করেছেন। পপি বলেন,‘ আমি আমার এলাকার সাধারণ মানুষকে করোনার ভয়াবহতা বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কারণ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানলেও এর ভয়াবহতা থেকে নিজেদেও কীভাবে রক্ষা করতে হয় তা তারা জানেন না। তাই তাদের নানান ধরনের পরামর্শ দেবার পাশাপাশি তারা যেন নিজেদেরকে নিরাপদ রাখতে পারে সেজন্য একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।’ এদিকে পপি সমাজের বিত্তবানদের আহবান জানিয়েছেন তারা যেন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদেরকে খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। এদিকে বিদ্যা সিনহা মিম গেলো ১৮ মার্চ থেকেই বাবা বীরেন্দ্র নাথ সাহা ও মা ছবি সাহা’কে নিয়ে রাজধানীর বুসন্ধরা আবাসিক এলাকায় ঘরের মধ্যে বন্দী রেখেছেন নিজেকে। নিজের ড্রাইভার, কাজের বুয়া সবাইকে বেতন দিয়ে ছুটি দিয়েছেন। কিন্তু মিম যে বড় কাজটি করেছেন তা হলো তিনি রাজশাহীর ৫০০ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। মিম বলেন,‘ আমার মামার মাধ্যমে নিয়মিত এই পাঁচশত পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা , খাবার সরবরাহ করছি আমি। এটা আমি আমার নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই করছি। আমি চাই তারা ভালো থাকুক, তারা যেন ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট না পায়। যাদের সামর্থ আছে তারা প্রত্যেকেই এভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালে হয়তো সাধারণ মানুষের কষ্ট দূর হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।