বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনার চেয়েও মানুষ হতে পারে ভয়ঙ্কর। যখন খুনের নেশায় পাষাণ হয় হৃদয়! চট্টগ্রামে আপনজনদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন যুবক মো. কামরুল (৪৫)। তাও মাত্র ২৫০ টাকা নিয়ে তর্কের জেরে। যখন করোনাভাইরাস মহামারী দুর্যোগে কাঁপছে দেশ, কাঁদছে মানুষ।
গতকাল রোববার রাতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার ফরিদার পাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানা পুলিশ জিসান ও জোহরা বেগম নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ওরা কামরুলের আত্মীয়।
কামরুল ফরিদার পাড়ার সালেহ আহমদের ছেলে। পেশায় তিনি টিভি ও ইলেকট্রিক মেকানিক।
এদিকে খুনের ঘটনাটি আপসের নামে দ্রুত ধামাচাপা দেয়া অথবা ভিন্নখাতে চালিয়ে দেয়া যায় কিনা নেপথ্যে প্রভাবশালীদের যোগসূত্রে অপচেষ্টা চলছে বলে এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বহদ্দারহাটের কাছে ফরিদারপাড়া এলাকায় জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে পানি কল অকেজো হয়েছিল। তা মেরামত করতে মিস্ত্রি ডেকে আনে জয়নালের ছেলে জিসান ও রাকিব। কলের মিস্ত্রি মেরামত কাজ শেষে ওদের কাছে ২৫০ টাকা মজুরি চান।
কিন্তু বেশি টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জিসান ও রাকিব মিস্ত্রির উপর চড়াও হয়। এ ব্যাপারটা তখন জয়নালের ছেলে রাকিব, জিসান ও মেয়ে জোহরা বেগমের মধ্যে তর্কে গড়ায়।
আর তখন সেখানে এসে একপর্যায়ে জয়নালের ভাইপো কামরুল ওই মিস্ত্রির পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় করতে অনুরোধ জানান। এতেই জিসান ও রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুলের সাথে এবার কথাকাটাকাটিতে লিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে ক্রোধের বশে তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের ফ্লোরে ফেলে দেয়। দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করতে শুরু করে তারা। মাথায় গুরুতর আঘাত পান কামরুল। এভাবেই মিস্ত্রির সেই ২৫০ টাকা মজুরি আদায় করতে গিয়ে কামরুলকে তার আত্মীয়দের হাতেই জীবন হতে হয়।
কামরুলের পরিবার-পরিজন বলছেন, কলের মিস্ত্রিকে টাকা দিয়ে দিতে বলায় জয়নালের ছেলে রাকিব ও জিসান কামরুলকে নিষ্ঠুরভাবে মারধর শুরু করে। তারা তাকে দেয়ালের সঙ্গে বারবার আঘাত করলে এতে তার মৃত্যু হয়।
এই হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ জানায়, ফরিদার পাড়ায় কামরুল নামের ব্যক্তিটির মৃত্যুর ঘটনাটি প্রথমিকভাবে হত্যা ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত জয়নালের ছেলে জিসান ও ইসহাকের স্ত্রী জোহরা বেগমকে আটক করা হয়েছে। কামরুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অস্থিরতার মাঝেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকাবাসীর মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।