পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে সৃষ্ট চলমান সংকটে টালমাটাল গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশও এই আঘাতের বাইরে নেই। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তকৃত নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ভার্চুয়াল জগতে গুজবের ছড়াছড়ি। তবে ২০ দিনে করোনা সম্পর্কিত গুজব ছড়ানোর ঘটনায় দেশজুড়ে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, করোনাভাইরাস আতঙ্কের সুযোগে গুজব ঠেকাতে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল। দেশজুড়ে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন এলাকাতেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে নিয়মিত বিষয়গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। ভার্চুয়াল জগতে গুজব প্রতিরোধে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
র্যাব সদরদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫মার্চ থেকে ৪এপ্রিল পর্যন্ত ২০দিনে করোনা সম্পর্কিত গুজব ছড়ানোর ঘটনায় দেশজুড়ে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, আটটি মোবাইল ফোন, নয়টি সিমকার্ড, গুজবের ৯১টি স্ক্রিনশট, সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী পাঁচটি ফেসবুক পোস্টের কপি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বলেন, নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশজুড়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে র্যাব। গুজব ঠেকাতে র্যাবের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নের নিজস্ব সাইবার মনিটরিং সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নজরদারী করছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ২০দিনে করোনা সংক্রান্ত গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগে অন্তত ১৩০টি ফেসবুক আইডি, পেজ, ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এর মধ্যে ৫০টি ফেসবুক আইডি, পেজ, ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করে ব্লক করার জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনা আতঙ্কের সুযোগে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। তবে ভার্চুয়াল জগতে গুজব শনাক্ত করে জড়িতদেও গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
পুলিশ জানায়, গুজব ছড়ানোর দায়ে এমন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, যারা না বুঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন। পরে মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গুজবের সঙ্গে জড়িত বাকিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।