Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অতঃপর ৫ কুকুরই দায়ী!

চরম বিপাকে বনজীবী ও জেলেরা

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে খাঁচার ভেতরে মাসহ চার হরিণশাবক হত্যা করে খেয়ে ফেলার ঘটনায় ৫টি ক্ষুধার্ত কুকুরকে দায়ী করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে প্রাণী সুরক্ষায় আরো তিনজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সুপারিশ করেছেন চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক ও ভেটেরিনারি সার্জন। চিড়িয়াখানার তত্ত্বাধায়ক মাহবুবুুর রহমান ও ভেটেরিনারি সার্জন ড. ফরহাদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার রাতে চিড়িয়াখানায় হরিণের খাঁচার বাউন্ডারি প্রাচীরের এক পাশের মাটি খুঁড়ে গর্ত করে ৫টি কুকুর ঢুকে পড়ে ৩টি হরিণের বাচ্চা ও ১টি মা হরিণ মেরে ফেলে। চিড়িয়াখানার আশপাশের কুকুরগুলো কয়েকদিন ধরে কোনো খাবার না পেয়ে বেশ আক্রমণাত্বক ও হিংস্র হয়ে উঠেছে । তারা হরিণগুলোকে মেরে খেয়ে নেয় ।

পরদিন সকালে চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা হরিণের খাঁচায় গেলে তা দেখতে পায় এবং কুকুরগুলোকে মেরে তাড়িয়ে দেয় । চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে বর্তমানে রাত্রিকালিন ৩ জন নাইটগার্ড দায়িত্ব পালন করে । কিন্তু তারা বিষয়টি টের পায়নি। পরে শনিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সচিব সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এরপর ভেটেরিনারি সার্জনকে দেখিয়ে মৃত হরিণগুলোকে মাটি চাপা দেয়া হয়। চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৭১টি হরিণ রয়েছে ।

ওই প্রতিবেদনে দুটি সুপারিশ করেছেন তারা। এগুলো হলো- চিড়িয়াখানায় বর্তমানে মাত্র ৩ জন নাইটগার্ড আছে। একেবারেই অপ্রতুল । তাই অতিরিক্ত আরো ৩ জন নাইটগার্ড প্রয়োজন । এছাড়া হরিণের খাঁচার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার কাজ দ্রুত শেষ করারও তাগিদ দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হরিণশাবক

৬ এপ্রিল, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ