পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনে ‘অরক্ষিত’ চট্টগ্রামে চোর-ডাকাতের উৎপাতের আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে গ্রিল ও তালাভাঙা পার্টির সদস্যরা। উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় মার্কেট, শপিংমল, জুয়েলারি ও দোকান মালিকেরা। বৃহত্তর চট্টগ্রামে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান।
লকডাউনে হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রকল্প এলাকায় পড়ে আছে কোটি কোটি টাকার নির্মাণ সামগ্রী। এসব মালামাল চুরি বা লোপাটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক আবাসিক ভবনও প্রায় ফাঁকা। টানা ছুটিতে অনেকে চলে গেছেন গ্রামের বাড়ি। বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে তারাও উৎকন্ঠিত।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে। তারা হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করছেন। পুলিশ বাহিনীর একমুখী ব্যস্ততায় চুরি, ডাকাতি, দস্যুতার মতো অপরাধে জড়িতরা তৎপর হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত নগরী বা জেলার কোথায়ও বড় ধরনের কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অঘোষিত লকডাউনে ফাঁকা মহানগরীর রাস্তাঘাট, মার্কেট, শপিংমল, বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাও। দিনের বেলায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহলে কিছুটা সরগরম থাকলেও সন্ধ্যার পর নগরীতে ভুতুড়ে পরিবেশ নেমে আসে। মার্কেট বিপণী কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের নির্জনতায় সুনসান নীরবতা। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কিছু নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও তারা ভয়-আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছে। রাতে অনেক এলাকায় পুলিশের টহল চোখে পড়ে না বলে জানান নিরাপত্তা কর্মীরা। করোনা সংক্রমণ আতঙ্ক এবং নিজের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
নগরীর ছোট বড় কয়েকশ মার্কেট বন্ধ। বন্ধ জুয়েলারি, মোবাইল ফোনসহ ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রীর দোকান শো-রুম। বিভিন্ন সময়ে টানা ছুটিতে এসব মার্কেট বিপণী কেন্দ্রে চুরি, দস্যুতা কিংবা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। টানা বন্ধের কারণে এখনও এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
একজন ঠিকাদার জানান, উন্নয়ন প্রকল্প এলাকায় সিমেন্ট, রড, হোমফিটিংসসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পড়ে আছে। পুলিশী টহল না থাকলে এসব মালামাল লোপাট হতে পারে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ ইনকিলাবকে বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। যেসব এলাকায় মার্কেট, শপিংমল এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে রাতে দিনে সতর্কটহল অব্যাহত আছে। অপরাধীদের ঠেকাতে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির বিশেষ টিম টহল অব্যাহত রেখেছে। কোথাও এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।