পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে এমন ঘোষণায় শত শত মানুষ জড়ো হয় থানার সামনে। প্রখর রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ত্রাণ না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে অসহায় এসব লোকজন। থানার সামনেই তারা বিক্ষোভ প্রর্দশনও করে। কর্মকর্তাদের গাড়ি ঘেরাও করে ত্রাণ দাবি করে। বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় এমন তুলকালাম কান্ডে তোলপাড় সর্বত্রই।
সচেতন নাগরিক সমাজের প্রশ্ন করোনা দুর্যোগের কারণে কাজ-কর্মহীন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের সাথে এ কেমন আচরণ, কেন এমন হবে? খোদ পুলিশের মতো একটি বাহিনীর ত্রাণ বিতরণে যদি এমন বিশৃঙ্খলা এবং সমন্বয়ের অভাব হয় তা হলে অন্যদের ক্ষেত্রে কি হবে। এই ঘটনায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকরণ কর্মসূচিও বিঘিœত হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।
রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকায় হয়তো অসহায় মানুষের এই ক্ষোভ বেশিদূর গড়ায় নি। তা না হলে পরিস্থিতি ভিন্ন রকম হতো।
জানা যায়, বন্দর থানায় নগর পুলিশের বন্দর জোনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিলো। প্রধান অতিথি সিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবর রহমান ৩ হাজার অসহায় পরিবারকে ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচি উদ্বোধন করে বেশ কয়েকজনের হাতে ত্রাণ সামগ্রীও তুলে দেন। এ সময় থানার বাইরে আগে থেকে অপেক্ষমান কয়েকশ নারী পুরুষ ত্রাণ দেওয়ার দাবি জানায়। এনিয়ে তারা হৈ চৈ হট্টগোল শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় এসময় সিএমপি কমিশনারসহ উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাগণ বিব্রত হয়ে পড়েন।
তবে পুলিশের ভয়ে লোকজন এক পর্যায়ে খালি হাতে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। পুলিশের ত্রাণ বিতরণ নিয়ে এমন তুলকালাম কন্ডেে সর্বত্রই সমালোচনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এক সভায় ত্রাণ দেওয়ার নামে ফটোসেশন আর বিশৃঙ্খলা বন্ধের আবোন জানিয়েছেন। অথচ পুলিশের ত্রাণ বিরতণ নিয়ে এমন কান্ড ঘটেছে।
তবে সিএমপির বন্দর জোনের উপ-কমিশনার হামিদুল ইসলাম বলেন, এটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিরতরণ করা হবে এমন কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এলাকায় বিট পুলিশের সহযোগিতায় হতদরিদ্রদের তালিকা করে তাদের ঘরে গিয়ে ত্রাণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উদ্বোধীন অনুষ্ঠানকে ঘিরে লোকজন থানার সামনে জড়ো হয়েছিলো। পরে পুলিশের অনুরোধে তারা ফিরে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।