বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা সংকটে সাড়ে তিন লাখ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়াও বৃহত্তর এ এলাকায় রয়েছেন বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জীবিকার সন্ধানে বসবাসকারী লাখও নিম্ন আয়ের ডে-লেবার মানুষ। করেনা পরিস্থিতিতে খাদ্য নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। চলমান এহেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিলেট সিটি করপোরেশন ‘খাদ্য ফান্ড’ গঠন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন নগরবাসীর। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ৩১ হাজার ২শ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা। প্রথম পর্যায়ে আরো ৩৮ হাজার ৪শ পরিবার পাবে এই খাদ্য সহায়তা।
কিন্তু খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে এরই মধ্যে এই ‘খাদ্য ফান্ডে’ দাতাদের দানে জমা পড়েছে আশাতীত টাকা ও খাদ্যসামগ্রী। সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির তত্বাবধানে সংকটাপন্ন্ মানুষের মধ্যে বিতরন করা হচ্ছে এসব খাদ্য সামগ্রি। সিসিকের ‘খাদ্য ফান্ডে’ অনুদানের পরিমান প্রতিদিনই বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ‘খাদ্য ফান্ডে’ নগদ ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার অনুদান দিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নগদ অর্থ অনুদান দিয়েছেন তারা হলেন- বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েন ইউকে ৫ লাখ টাকা, মরহুম এম সাইফুর রহমানের পুত্র কায়সার রহমান ও সাফওয়ান চৌধুরী ২ লাখ টাকা করে নগদ অনুদান দিয়েছেন। নগদ ১ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন মো. আতাউল্লাহ সাকের, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর উপদেষ্ঠা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা এম এ হক, বারাকা পাওয়ার লিমিটেড'র ঠিকাদার অরূন দে, ঠিকাদার মো. হেলাল উদ্দিন, সিলটেক কন্সট্রাকশন ফার্ম ও মাহি উদ্দিন সেলিম। 'খাদ্য ফান্ডে' যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৫০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন অংকে নগদ অনুদান দিয়েছেন তারা হলেন- আফজাল রশিদ চৌধুরী, সিকন্দর ফাউন্ডেশন, হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল রোজ ভিউ, পানসী গ্রুপ, ইষ্টিকুটুম রেষ্টুরেন্ট, মৌলা বকস/করিম বকস-এর পক্ষে লুৎফুর রহমান সাধন, মো. খসরুজ্জামান, মিসেস রহিমা খাতুন, মো. এজাজ, মো. হুমায়ূন আহমদ ও এডভোকেট মোহাম্মদ লালা। ৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন অংকে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অনুদান দিয়েছেন তারা হলেন, পাঁচ ভাই রেষ্টুরেন্ট, ফখরুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান ও সাহেদা বেগম চৌধুরী। 'খাদ্য ফান্ডে' মোট ৬০৩ বস্তা চাল প্রদান করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তারা হলেন, হাজী মতিন মিয়া, হাজী শাহিন ট্রেডার্স, হাজী মান্না, মো. জুবের, মো. আনসার মিয়া, মো. মতিউর রহমান, হাজী বাবুল মিয়া, বাবুল দেব, মাহমুদ আলী, হাজী মছদ্দর আলী, হাজী ফারুক মিয়া, হাজী আজির উদ্দিন, খলিল উদ্দিন, সানা উলাহ ফাহিম, ফরিদ বকস খুশনু, মোনায়েম খান বাবুল, গোলাম হাদি ছয়ফুল, মো. ইমতিয়ার হোসেন আরাফাত, আব্দুল লতিফ, কয়েছ আহমদ, নূর মিয়া, পাভেল আহমদ, কুশিয়ারা কনভেনশন হল, সিলেট কেবলস সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড ও জমজম বাংলাদেশ। ফান্ডে এ পর্যন্ত ১৫ টন আলু দিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ইকবাল ব্রাদার্স- ১০ টন, ফিজা এন্ড কোম্পানী- ২ টন, আফছর উদ্দিন- ১ টন, মো. জাহিদ- ১টন, পিনাক কর এবং রাহুল মটরস- আধা টন করে মোট ১৫ টন আলু দিয়েছেন অসহায় মানুষের জন্য গঠিত এই খাদ্য ফান্ডে। ইকবাল ব্রাদার্স ফাউন্ডেশন-৪ হাজার লিটার, রাজমহল সুইটস- ৪০০ লিটার, মো. ইমতিয়ার হোসেন আরাফাত ও আব্দুল লতিফ দিয়েছেন ২৪০ লিটার, স্বাদ এন্ড কোং ও করিম এন্ড সন্স ২০০ লিটার করে মোট ৫০৪০ লিটার তেল দিয়েছেন। এছাড়াও ইকবাল ব্রাদার্স ফাউন্ডেশন- ৪ টন, আমিন উদ্দিন- আধা টন, বিনয় বাবু- ২ বস্তা সহ মোট ৪ হাজার ৬০০ কেজি ডাল এবং ৩ হাজার পিস সাবান দিয়েছেন। সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ৮ টন পিয়াজ এবং মো. ইমতিয়ার হোসেন আরাফাত ১ টন লবন দিয়েছেন এই ফান্ডে। এদিকে, সিসিক'র 'খাদ্য ফান্ডে' যারা অনুদান দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।