বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাস আতংকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটি একবারেই রোগী শূন্য। গত তিন দিনে ৩২ জন রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। যা অন্যান্য দিনের তুলনায় খুবই কম। রবিবার সকাল থেকে ১৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন ভর্তি হয়েছে। বাকি ৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সরকারী বে-সরকারী ভাবে ব্যাপক সতর্কতা মূলক প্রচারণা অব্যাহত থাকায় মানুষ সর্তকতার চেয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে বেশীর ভাগ মানুষ। সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হলেও মানুষ ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটিতে এর আগে শতাধীক রোগী ভর্তি থাকতো। করোনা ভাইরাস সংক্রম শুরু হবার পর থেকেই প্রতিদিন দুই এক জন করে রোগী আসছে। আর জরুরী বিভাগেও তেমন ভীড় নেই। ২৮ মার্চ ৮ জন ও ২৭ মার্চ ১৬ জন ভর্তি ছিল। রবিবার ২৯ মার্চ ১৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন ভর্তি হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ১২৬ জন প্রবাসী তালিকাভুক্ত থাকলেও ৪৩ জন রয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। বাকী প্রবাসীদের সনাক্ত করা যায়নি বলে জানা গেছে। তবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও অনেকেই সন্ধ্যায় এক স্থানে জড়ো হওয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যান-বাহন চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষ হাসপাতালে আসার সুযোগ পাচ্ছে না,তাদের বেশীর ভাগই স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে ব্যবহার করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের রোগী কম ভর্তির কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই হাসপাতালে চিকিৎসক ডা.রেফায়েত হোসেন জানান, একেতো যানবাহন চলাচল বন্ধ। অপরদিকে মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করার কারনে হাসপাতালে রোগী উপস্থিতি সংখ্যা অত্যন্ত কম বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, পুরো পটুয়াখালী জেলা অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক ভালো আছে এ উপজেলা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তিনি আনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।