মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত মানুষের অনুপাত মারাত্মক হওয়া সত্ত্বেও স্পেনের পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে অস্বাভাবিক মাত্রায় সংক্রমণের হার এখনো দুশ্চিন্তার কারণ।
ইউরোপে ইটালির পর স্পেনই করোনা সংকটের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবারও সংক্রমণের গতি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায় নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮০০-রও বেশি।
এমন মারাত্মক পরিস্থিতি সত্ত্বেও স্পেনের প্রশাসনের স্বাস্থ্যখাতে জরুরি অবস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফার্নান্দো সিমন কিছুটা আশার আলো দেখছেন। তিনি বলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির ১৪ শতাংশ হার সাম্প্রতিক দিনগুলির তুলনায় সবচেয়ে কম। স্পেন মহামারির উচ্চতম মাত্রা ছুঁতে চলেছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তারপর সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে। করোনায় আক্রান্ত যে সব মানুষ চিকিৎসার শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ৪ হাজার এমন মানুষের আরোগ্যের খবর পাওয়া গিয়েছিল। শুক্রবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার।
সার্বিকভাবে কিছুটা উন্নতি সত্ত্বেও রাজধানী মাদ্রিদ ও আশেপাশের এলাকার পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারছে না। সেখানকার হাসপাতালগুলি রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছে না। প্রায় ১,৩০০ মানুষ গুরুতর অবস্থায় আইসিইউ-তে রয়েছেন। এক বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গনে ৫ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তুলেও চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।
স্পেনে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণও বর্তমান সংকটকে আরও কঠিন করে তুলছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানালের হিসেব অনুযায়ী মোট ৯,৪৪৪ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এমন অবস্থা দেখা যায় নি। ফলে স্পেনে রোগীদের সেবার কাজ কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী বার বার জানিয়েছেন, যে তাদের হাতে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে মাস্ক, গ্লাভস বা গাউনের মতো ন্যূনতম সরঞ্জাম নেই। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অ্যামনেস্টি কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়াচ্ছে।
শুক্রবার স্পেনের সংসদ সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ই মার্চ থেকে গোটা দেশে কড়া হাতে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। স্পেনের মন্ত্রিসভা শুক্রবার কর্মী ছাঁটাই বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমমন্ত্রী ইয়োলান্দা দিয়াস বলেন, এমন স্বাস্থ্য সংকটের ফায়দা তুলে কেউ এ দেশে কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে না। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
কি-ওয়ার্ড: করোনাভাইরাস, স্পেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।