পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব কাঁপছে করোনাভাইরাসে। এর জের হিসেবে সারাদেশে লকডাউন চলছে। বলতে গেলে সবাই ঘরবন্দি। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে পা রাখছেন না। রাজধানীতে থানা পুলিশ এলাকায় মাইকিং করে লকডাউন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছে। সে সঙ্গে চলছে সেনাবাহিনীর টহল।
অবসর সময় প্রত্যেকের মাথায় নানান রকম কথা ঘুরবে। প্রথমেই আসবে খাবার আছে কিনা। তারপর আসবে টাকার যোগান সংক্রান্ত কথা। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায়- তারা তো বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়লেন। তাদের একটাই চিন্তা সংসার কিভাবে চলবে?
ইতোমধ্যে অসহায় দরিদ্রদের সহায়তা দিতে অনেকেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাসায় বসে অনেকেই পরিচিতদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ইন্টারনেটে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। কম্পিউটার ও স্মার্ট মোবাইল ফোনে জাতীয় দৈনিকগুলোর অনলাইন থেকে সর্বশেষ খবর জেনে নিচ্ছেন। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে মাথা ঠান্ডা রাখা খুব দরকার।
প্রথমত কাজ হচ্ছে অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ঘরে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী মজুদ করবেন না । এতে সমাজে অন্য বিপদ সৃষ্টি হবে যা এই মুহূর্তের বিপদকে আরো বাড়িয়ে দেবে। মাথা খাটিয়ে সংসার চালাবেন। ছুটিতে আছেন ভেবে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন না করাই ভালো। বুঝে খরচ করুন এবং শরীরকে সুস্থ রাখুন।
বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ ও বাচ্চাদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। এই সময় অন্য কেউ অসুস্থ হলে আরো সমস্যা বাড়বে। বাড়ির কাজ সবাই ভাগ করে করুন। কেউ কাজে ভুল করলে বকাবকি না করে শুধু সংশোধন করে দিন। একে অন্যের সমালোচনা করবেন না।
সন্তানরা খেলতে না পেরে অস্থির হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনাদের সঙ্গে ঘরের কাজে লাগাবেন এবং সময় নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে খেলবেন। ছোট ছেলেমেয়েরা অস্থির হয়ে যাচ্ছে বলে মোবাইল ফোন হাতে তুলে দেবেন না। বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তাদেরও সচেতন করুন। ছুটি বলে বাসার বাইরে বের হয়ে খেলা করা যাবে না।
যে যা ওষুধ নিয়মিত খান সেগুলো ঠিক মতো খাবেন। ওষুধের দোকান খোলা থাকবে । হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করবেন না। যারা নেশা করেন তারা যদি নেশার বস্তুটি ত্যাগ করতে পারেন সেটা সবথেকে ভালো। শরীরের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। আপনার সুস্থতা আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবে।
এলাকার মানুষদের সঙ্গে ইন্টারনেটে যোগাযোগ করুন এবং সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। সবার খোঁজ খবর নিন। করোনা ছাড়াও মানুষের অন্য অসুখ হতে পারে তখন আপনার সাহায্য লাগতেই পারে। নিজের যে শখগুলো এতদিন সময়ের অভাবে করতে পারছিলেন না সেগুলো যদি বাসায় বসে করা যায় সেদিকে মন দিন। পছন্দের গান শুনুন। বাসায় থাকার একঘেয়েমি কাটাতে কিছু সৃষ্টিশীল কাজ করতে পারেন।
প্রত্যেক মানুষেরই ব্যক্তিগত ত্রæটি বিচ্যুতি থাকে। এই সময় পারস্পরিক ত্রæটি বিচ্যুতিকে ক্ষমা করুন। সম্পর্কের দূরত্ব কমানো খুব দরকার। স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তান, ভাই ও বোন- সব সম্পর্কেই দ্ব›দ্ব থাকতে পারে। এই সময়ের জন্য নিজেকে একটু বোঝান যে এই বিপদের দিনে এই মানসিক দ্ব›দ্ব সরিয়ে রেখে একটা বন্ধুত্ব পূর্ণ সহাবস্থান দরকার।
সমাজের সব স্তরের মানুষের কথা ভাবুন। আমরা কেউ একা একা জীবন ধারণ করতে পারি না। সব পেশার লোকের শ্রমের ফলেই আমরা সমাজে বাস করি। তাই আপনার চারপাশে খেটে খাওয়া দিন মজুরদের আর্থিক কষ্টের কথা মাথায় রাখবেন। পাড়ায় পাড়ায় একটু তহবিল তৈরি করলে যারা আর্থিক সঙ্কটে পড়বে তাদের সাহায্য করতে পারবেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নিজের বাসায় সুরক্ষিত থাকবেন না কি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন সেটা আপনি বেছে নিন। সূত্র : টিওআই/এই সময়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।