পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্বের মানুষ। এই ভয়াল মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৯ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি এবং প্রতি মুহূর্তেই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার।
তবে নিশ্চিত মৃৃত্যুর হাতছানির মধ্যেও আশার আলো দেখাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের গবেষক এবং বিশেষজ্ঞরা। মৃত্যু হার কমে গিয়ে একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছে আরোগ্যের হার। চীন তার সর্বশেষ করোনা হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে নতুন সংক্রমণ নেই। চীনের সাথে সাথে করোনার চিকিৎসায় কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে কিউবাও। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘকালব্যাপী নিষেধাজ্ঞার পরেও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিষেধক হিসেবে ‘ওয়ান্ডার ড্রাগ’ ব্যবহার করছে। ইন্টারফেরন আলফা-২বি রিকম্বিন্যান্ট-আইএফএনরেক নামের এই ওষুধটি কিউবা এবং চীনের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে পুনর্বিন্যাস করেছেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন করোনা মহামারীর চিকিৎসার জন্য এর সাথে আরো ৩০টি ওষুধ নির্বাচন করেছে।
কিউবা বিশ্বজুড়ে এই নতুন ওষুধ বিতরণ করার জন্য তার বিশেষজ্ঞ দল ছড়িয়ে দিয়েছে। কমিউনিস্ট চালিত দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও তারা করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করতে সক্ষম। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য ইন্টারফেরন-বিটাসহ আরও তিনটি ওষুধ নিয়ে গবেষণা শুরু করতে যাচ্ছে।
এদিকে, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফডিএ প্রথম মার্কিন করোনাভাইরাস চিকিৎসা ব্যবস্থার অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন চিকিৎসকরা এখন অসুস্থ আমেরিকানদের সুস্থ হওয়া রোগীদের রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে চিকিৎসা করতে পারবেন। ‘কনভালেসেন্ট সিরাম’ হিসেবে এটি চীনে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে এটি প্রতিষেধকের কাজ করতে সক্ষম নয়। এটি কেবল অস্থায়ী সুরক্ষা দেবে।
এছাড়া, দ্রুত করোনা নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা পরীক্ষায় বিশেষ টেস্টিং কিট ব্যবহার করছে যেগুলি চূড়ান্ত ফল পেতে কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়। সেই প্রচেষ্টা থেকে একটি ডাচ প্রতিষ্ঠান এক নতুন করোনাভাইরাস পরীক্ষার অনুষঙ্গ তৈরি করেছে যা ঘরে বসে টেস্ট স্ট্রিপের মাধ্যমে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার মতো একই রকমের। কিটটি মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে নিশ্চিত ফলাফল দিতে পারলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ভাইরাসটি সনাক্ত করতে সক্ষম নয়। তবে, নাকের শ্লেষ্মার পরীক্ষাটি ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিলেও পরীক্ষার ফলাফল ১শ’ শতাংশ নির্ভুল হয় এবং রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করার জন্য আর পরীক্ষা বা অপেক্ষার প্রয়োজন হয় না।
এদিকে, অক্সফোর্ডের এক নতুন গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে যে, লাখ লাখ মানুষের শরীরে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রকৃতিগতভাবেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে শুরু করেছে। মহামারীটির গতি ও চরিত্র বিশ্লেষণ করে অক্সফোর্ড গবেষক দলটি অনুমান করছে যে, ভাইরাসটি ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে কয়েক লাখ মানুষকে সংক্রমিত করেছে। কিন্তু সেই হিসাবে আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুর হার কমে আসছে।
অক্সফোর্ডের তাত্তি¡ক মহামারী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সুনেত্রা গুপ্তা বলেছেন, ‘ভাইরাসটি থেকে কে সংক্রমিত হতে পারে তা নির্ধারণের জন্য এখন যা করা দরকার তা হ’ল রক্তের প্রতিরোধক কোষ পরীক্ষা করা।’
তাদের অনুমান যদি সঠিক হয়, তবে এর অর্থ সম্ভবত বিশে^র জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। সূত্র : নিউজ উইক, ফিনান্সিয়াল টাইমস, ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।