পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাগার থেকে মুক্ত হলেও এখনি দলের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আপাতত তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। দলের নেতাকর্মীদেরও তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলীয় প্রধানের সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব এই কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু ম্যাডামের সাথে দেখা করতে এসেছি। তিনি খুব অসুস্থ। চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। তার চিকিৎসার ব্যাপারটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে এবং কিছুদিন অন্তত: ম্যাডামকে যেন কোয়ারেইটাইনে রাখা হয় অর্থ্যাৎ অন্য কেউ যেন দেখা-সাক্ষাত না করে সেসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এই সময়ে আমরা রাজনৈতিক কোনো আলোচনা করিনি। স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ তারা তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, শুকরিয়া আদায় করেছেন যে, তিনি ফিরে এসছেন বাসায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, চেয়ারপারসন অত্যন্ত অসুস্থ। তারপরে তিনি সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সকলকে ভালো থাকতে বলেছেন। তিনি কোয়ারেইটাইনে থাকার জন্য বলেছেন এবং ভয়াবহ যে মহামারী হচ্ছে সেজন্য সবাই যেন আমরা সচেতনভাবে ভালো চলি এবং নিজেকে বাঁচিয়ে চলি সেকথা বলেছেন।
কয়দিন কোয়ারেইটাইনে থাকাবেন বেগম জিয়া এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা চিকিৎসকরা ঠিক করবেন। এর আগে রাত ৭টায় ফিরোজা‘য় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় মির্জা ফখরুলসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ফিরোজায় আসার পর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক তার সাথে দেখা করে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান। বিকাল সোয়া ৪টায় বিএনএমএমইউ থেকে মুক্ত হয়ে নিজের বাসায় আসেন খালেদা জিয়া। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম তার সাথে দেখা করে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত হন। চিকিৎসকরা হলেন- প্রফেসর ডা. এফএফ রহমান, প্রফেসর ডা. রজিবুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।