পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভয়াল করোনাভাইরাস মহামারী সংক্রমণেরর বিরুদ্ধে যারা লড়ছেন, আরও জোর কদমে লড়তে হবে সেই যোদ্ধারা হলেন দেশের ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু কি নিয়ে প্রথমে লড়তে যাবেন? নিজেদের সংক্রমণরোধে কী নিরাপত্তা? ডাক্তার-নার্সদের করোনায় সংক্রমণরোধে জরুরি প্রয়োজন পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই)।
অথচ তাও আছে অল্পস্বল্প। ঢাকায়, চট্টগ্রামে, সারাদেশে একই দশা। নেই আর নেই। ডাক্তার-নার্সদের করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত করাতে গেলে আগেই প্রয়োজন নিজ সুরক্ষায় পিপিই। তার অভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রশ্ন থাকায় ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ভয়-শঙ্কা ও অসন্তোষও।
এ অবস্থায় দেশে পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সঙ্কট সামাল দিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামেই আশার আলো ফুটে উঠলো। ডাক্তার-নার্সদের করোনা সুরক্ষায় চট্টগ্রাম থেকে জোগান দেয়া হচ্ছে এক লাখ পিপিই। এর অর্ধেক ৫০ হাজারের চালানও গতকাল ঢাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। অবশিষ্ট ৫০ হাজার পিপিইর চালান আজ-কাল পাঠানোর টার্গেট ধরে চট্টগ্রাম ইপিজেডে স্মার্ট গ্রুপের বিশেষায়িত একটি পোশাক কারখানায় উৎপাদন কাজও চলছে দিনরাত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধালয় এরজন্য স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্মার্ট জ্যাকেট লিমিটেডকে এক লাখ পিপিই তৈরির কার্যাদেশ দিয়েছে। চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিশেষায়িত এ কারখানা ৫০ হাজার পিপিই তৈরি করে মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় পাঠায়। অবশিষ্ট ৫০ হাজার পিস পিপিই তৈরি হবে দুয়েকদিনে।
এ বিষয়ে স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই পিপিই তৈরি হয়। সেগুলো আমেরিকায় রফতানি করি। এবার দুঃসময়ে দেশের সেবার সুযোগ হাতে এলো। ভালোই লাগছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের প্রতিষ্ঠানের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতার বিষয়টি জানতে পেরে যোগাযোগ করে। আমরা প্রথমে কিছু পিপিই’র নমুনা পাঠাই। তারা পছন্দ করলেন। এরপরই প্রথমে ৫০ হাজার এবং আরেক দফায় ৫০ হাজার জোগানোর জন্য কার্যাদেশ দেয়। স্মার্ট গ্রুপের কর্মকর্তারা জানালেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধালয়ের পরিচালক গত ২৩ মার্চ কার্যাদেশ পাঠান এ প্রতিষ্ঠানে। একদিনের মধ্যেই ৫০ হাজার পিপিই তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হলো। এরজন্য আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানের বুকিং বাতিল করা হয়। পরে হয়তো রফতানি করবো। তার আগে দরকার দেশের ডাক্তার নার্সদের জন্য পিপিই’র অভাব পূরণ।
এদিকে বর্তমানে চট্টগ্রাম ইপিজেডে স্মার্ট জ্যাকেটের কারখানা ফ্লোরে আলট্রাসনিক মেশিনের সাহায্যে বাকি ৫০ হাজার পিস পিপিই তৈরির কাজ চলছে। কোনো ধরনের সেলাই ছাড়াই তিনটি রঙের পিপিই তৈরি হচ্ছে। সেগুলো পানি এবং বাতাস প্রতিরোধক। যা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সক্ষম।
কারখানার একটি ফ্লোরে ১৩টি লাইনে ৭৩০ শ্রমিক পিপিই তৈরিতে পার করছেন ব্যস্ত সময়। করোনায় বিপদকালেও এ যেন তাদের জন্য অন্যরকম ভালোলাগা। মানবিকতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।