Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উৎপাদন বাড়লেও বাজারে নেই

হ্যান্ড স্যানিটাইজার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২০, ১২:৩৮ এএম

করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক হিসেবে চাহিদা বাড়ায় দেশ থেকে উধাও হয়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যাক্সিসল। ক্রেতারা ফার্মেসি বা সুপারসপ কোথাও স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। যে দু’এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে সেখানে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
সূত্র মতে, দেশে ৭টি প্রতিষ্ঠান হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করতো, স্বাস্থ্য অধিদফতর নতুন করে দুই ধাপে ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০টি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে এবং ব্যক্তিপর্যায়ে অনেক স্যানিটাইজার উৎপাদন করলেও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ক্রেতারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দোকানে পাচ্ছেন না। বিকল্প হিসেবে সাবান কিনছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ দেখা দিলে একটি অসাধু চক্র জরুরি জিনিসপত্র মজুত করে, দাম বাড়িয়ে দেয়। আর এখন সেই সুযোগ গ্রহণ করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বনশ্রীর বাসিন্দা জান্নাত নূর ইনকিলাবকে বলেন, সুপার সপ, ফার্মেসিতে হ্যাক্সিসল, হ্যান্ডস্যানিটাইজার কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দোকানে হ্যান্ডওয়াশও নেই।

যাত্রবাড়ির বাসিন্দা হাসানুজ্জামান বলেন, কয়েকদিন থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনবো তা কোথাও পাচ্ছি না। সরকার সামান্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারছে না, করোনা রোগীদের সেবা কিভাবে নিশ্চিত করবে তা বুঝে আসছে না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ফয়সাল খান ইনকিলাবকে বলেন, কোন ফার্মেসিতে হ্যাক্সিসল, স্যানিটাইজার পাইনি। তেজগাঁও এলাকায় কিছু সেচ্ছাসেবী হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করার সময় এক বোতল চেয়ে নিয়েছি। সরকারের মন্ত্রীরা করোনা মোকাবেলায় অনেক প্রস্তুতির কথাই বলেছেন, কিন্তু তাদের কথার সাথে বাস্তবে কাজের মিল পাচ্ছেন না বলেও জানান ফয়সাল।

এদিকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার না থাকার বিষয়ে সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখাচ্ছেন দোকানদাররা। একই সঙ্গে উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বলছে কাঁচামালের অভাবে দ্রæত উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের মতে, চাহিদার তুলনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার কম। অকে ফার্মেসী জানিয়েছে, কোম্পানিতে অর্ডার দিলেও হ্যাক্সিসল বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করছে না। ফলে খালি হাতে ফেরাতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আর যা আসে তা সল্প সময়েই বিক্রি হয়ে যায়। আবার অনেকেই অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রাখছেন। তাই যারা আগে অর্ডার দিচ্ছেন তাদেরকে আগে স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে।

তবে দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার না পাওয়া গেলেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক প্রতিষ্ঠান হেক্সিসল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান সাবান ও মাস্ক বিরতণ করছে। এদিকে ইউটিউবে ভিডিও দেখে বাসা বাড়ি জীবাণুমুক্ত করার জন্য সাবান, ডিটারজেন্ট ও ব্লিচিং পাউডার এর সমন্বয়ে এক ধরণের জীবাণুনাশক তৈরী করে ব্যবহার করছেন অনেকেই।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, দেশে করোনার প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন করে ২৩ টি প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাহকরা যাতে ন্যায্য মূল্যে বিশেষ করে এমআরপি বা গায়ে লেখা মূল্যে ক্রয় করতে পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে সাতটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করতো তাদেরকে আরো বেশি উৎপাদন এবং দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উৎপাদন

২২ ডিসেম্বর, ২০২২
৬ অক্টোবর, ২০২২
৩০ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ