Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্ব পানি দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২০, ১২:৪০ এএম

আজ রোববার বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও’তে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানি সম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং তার পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের অনিবার্য পরিণতি হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা যেন কোনোভাবেই পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত না করে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। আমি প্রত্যাশা করি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষম হবে।
তিনি বলেন,ভ‚-উপরিস্থ পানির অপ্রতুলতার কারণে ভ‚-গর্ভস্থ ও ভ‚-উপরিস্থ পানির সমন্বিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার ভ‚-গর্ভস্থ পানির বিদ্যমান পরিস্থিতির যৌক্তিক উন্নয়ন এবং নিয়মিতভাবে ঘাটতি প‚রণে ভ‚-উপরিস্থ পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। নদী এবং খাল পুনঃখননের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য প্রাকৃতিক জলাধারসম‚হের রক্ষণাবেক্ষণসহ নতুন জলাধার ও অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, পানি সম্পদ দক্ষতার সঙ্গে আহরণ এবং এর ফলপ্রসূ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদেরকে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি ও টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আবহমানকাল হতে নদী-নালা-খাল-বিল-হাওর-বাঁওড় তথা পানি আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে উপকার পৌঁছে দিচ্ছে। তাই পানি সম্পদকে দক্ষতার সঙ্গে আহরণ এবং এর ফলপ্রসূ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদেরকে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, পানির প্রজ্ঞাপূর্ণ ব্যবস্থাপনা আমাদের জলবায়ু ও প্রকৃতির জন্য আশির্বাদ বয়ে আনবে। অন্যদিকে পানি ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা আমাদের জলবায়ু তথা টেকসই উন্নয়নের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে দ্রিত একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে উন্নয়নের যে গতিধারা আমরা অর্জন করেছি তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তার যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৬ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পানি দূষণ কমানোর বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আমরা মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। বাণীতে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পানি দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ