রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার এক প্রান্ত ভেদ করে অন্যপ্রান্ত দিয়ে বের হয়ে গেছে ময়মনসিংহ-ভৈরব রেলপথ। এরই মধ্যে উপজেলার দুটি অংশে রয়েছে রেলওয়ে স্টেশন। একসময় উক্ত দুই স্টেশনে মানুষের লোকসমাগম ছিল দেখার মতো। আশপাশের দোকান-পাট ও হাটবাজারগুলোতে চলতো বিভিন্ন বাণিজ্যিক আদান-প্রদান। বর্তমানে সেই জৌলস আর নেই। শুধুমাত্র অর্থ বাচাঁতে ও নিরাপদ গমন করতে আজও রেলপথ ব্যবহার করছে যাত্রীসাধারন। জানা যায়, উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নে অবস্থিত নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশন এবং অপরটি মুশুল্লী ইউনিয়নে অবস্থিত মুশুল্লী রেলওয়ে স্টেশন। বৃটিশ আমলে এ দুটি রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পর তেমন কোন উন্নয়নের মুখ দেখেনি স্টেশনগুলো।
সম্প্রতিকালে শুধুমাত্র নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীসাধারনের উঠা-নামার জন্য একটি পাকা ফ্লাটফর্ম ও একটি সিগন্যাল বক্স তৈরী করা হয়েছে। তবে দুটি স্টেশনের একটিতেও নেই কোন উন্নতমানের বিশ্রামাগার ও পানীয় ব্যবস্থা। সেই বৃটিশ আমলে নির্মিত পুরাতন জরাজীর্ণ অবকাঠামো দিয়েই চলছে রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। নান্দাইল রোড স্টেশনে কয়েকজন লোকবল থাকলেও মুশুল্লী স্টেশনে নেই কোন লোকবল। মুশুল্লী স্টেশনের নামে স্থায়ীভাবে সাঁটানো সাইনবোর্ড রয়েছে। রয়েছে টিকিট কাউন্টার ছাড়াও কয়েকটি জরাজীর্ণ ভবন, কিন্তু নেই কোনো লোকবল। যথারীতি যাত্রীর আগমনসহ ট্রেনে ওঠানামা করলেও টিকিট দেওয়া ও দেখাশোনা করার কেউ নেই। মুশুল্লী ইউনিয়নসহ আশপাশের সংযুক্ত আরো কয়েক ইউনিয়নের লোকজন নিরাপদ বাহন হিসাবে রেলওয়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্টেশনের ভবনগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্টেশনে বিভিন্ন গবাদিপুশু চরে বেড়াচ্ছে। এ স্টেশনের সাথেই রয়েছে একটি রেলক্রসিং। রেলক্রসিংয়ে গেইটবার তৈরির সময় একজন গেইটম্যান নিয়োগসহ তার জন্য গেটের পাশেই একটি ছোট পাকা ঘর তৈরী করা হয়েছে। গেইটম্যান শিশির দাস বলেন, মুশুল্লী স্টেশনে দিনে ও রাতে লোকাল ট্রেনগুলো থামে। তখন এখানে যাত্রী ওঠানামা করে। কিন্তু স্টেশনে কার্যক্রম না থাকায় টিকিট কিনতে পারেন না যাত্রীরা। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে এখানকার যাত্রীরা বিনাটিকেটে ট্রেনে চড়েন। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেন। অপরদিকে নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশনে কিছু সংখ্যক লোকবল রয়েছে। যার ফলে এখনও রেলওয়ে যাত্রীসাধারনের কিছুটা সমাগম রয়েছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল রোড রেলস্টেশন মাস্টান মো. জাহিরুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যাত্রীদের সুবিধার্থে ছোট্র ফ্লাট ফর্ম ও সিগল্যন বক্স নির্মাণ করা হলেও যাত্রীদের শৌচাগার ও বিশ্রামাগার জরুরি প্রয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও লোকবল বৃদ্ধি হলে স্টেশনটি পূর্বের যৌবন কালে ফিরে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।