পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশেই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণের কিট উৎপাদন করা হবে। এই কিট শনাক্ত করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তিনি আরো বলেন, সরকারের কাছ থেকে এ কিট তৈরির অনুমোদন পেয়েছি। এর কাঁচামাল যুক্তরাজ্য থেকে আসতে ৭ দিনের মতো সময় লাগবে। কাঁচামাল এলেই আমরা উৎপাদনে যাবো।
উল্লেখ্য, বুধবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা শনাক্ত করণের কিট আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, এই কিট দিয়ে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব। আর এতে খরচ হবে মাত্র ৩৫০ টাকা। ওই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন ড. বিজন কুমার শীল।
সহজ উপায়ে ও সুলভ মূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ শনাক্ত করার জন্য কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। আর সেই উপকরণগুলো ব্যবহার করতে হলে ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন লাগবে। এ জন্য তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহষ্পতিবার করোনা শনাক্তে উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতির জন্য উপকরণ (রিএজেন্ট) আমদানির অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে এ অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত পদ্ধতিকে অনুমোদন দিল সরকার। অনুমোদন মেলায় আগামী এক মাসের মধ্যে করোনা শনাক্তের নতুন পদ্ধতি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে রিএজেন্ট আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- উপকরণগুলো ব্যবহারের ফলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না মর্মে সার্টিফিকেট দিতে হবে; যে ল্যাবে গবেষণা হবে সেখানে রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষকে পরিদর্শনে অনুমতি দিতে হবে; রিএজেন্টগুলো শুধুমাত্র প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কাজে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া পদ্ধতিটির কার্যকরিতা প্রমাণের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের ল্যাব ও ক্লিনিকগুলোতে সরবরাহ করা যাবে।
এর আগে গত বুধবার এক সাক্ষাৎকারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তকরণ পদ্ধতি সম্পর্কে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অনেকেই বলছে করোনা শনাক্তের কিট আবিষ্কার। মূলত ওটা কিট নয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে কোভিড-১৯ নামে যে রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেÑ সেটি শনাক্ত করার জন্য আমরা একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি। ডা. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে আরও চার জন ডাক্তার মিলে এই পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছেন। কিট তো অনেক বড় ব্যাপার। একটা কিটের খরচ ৯/১০ হাজার টাকা। আর আমরা যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি, সেটার খরচ পড়বে ২০০ টাকা। যে কোনো প্যাথোলজিক্যাল ল্যাব বা হাসপাতালে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ৩০০ টাকা খরচে কোভিড-১৯ শনাক্ত করা যাবে, বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
কবে নাগাদ এই পদ্ধতি ব্যবহার করা সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ শনাক্ত করার জন্য কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। সেই উপকরণগুলো ব্যবহার করতে হলে ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন লাগবে। আর অনুমোদন পেলেই তো হবে না। যে কেমিক্যালগুলো এই পদ্ধতির জন্য লাগবে, সেগুলো বাইরে থেকে আমদানি করতে হবে। সুইজারল্যান্ড থেকে একটা কেমিক্যাল আনতে হবে। এর জন্য আমরা আমাদের চাহিদাপত্র পাঠানোর পর তারা আমাদের কেমিক্যাল সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, যে কিটের মাধ্যমে আইইডিসিআর কোভিড-১৯ শনাক্ত করছে, সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা চীনের সরবরাহ করা কিট। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং তা দিয়ে পরীক্ষার জন্যও প্রয়োজন উন্নত ল্যাবরেটরি। কিন্তু আমাদের এই পদ্ধতি অত্যন্ত সুলভ ও সহজলভ্য। এই পদ্ধতিতে দেশের যেকোনো হাসপাতালে কোভিড-১৯ শনাক্ত করা যাবে। একটা জায়গায় ভিড় করতে হবে না। মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সেটি দূর হবে। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন মিললে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ শনাক্ত করার কাজ শুরু করতে পারবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমাদের এই পদ্ধতি অন্যরাও ব্যবহার করতে পারবে। এতে কোনোভাবেই ৩শ’ টাকার বেশি খরচ পড়বে না। অবশ্য এ ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হতে হবে।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।