পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নানা জটিলতায় আটকে থাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আবারও ট্রায়ালের আবেদন করে চিঠি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে। এখন ফিরতি চিঠির জন্য অপেক্ষা করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এবার বিএসএমএমইউ ও আইসিডিডিআরবি থেকে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
গণস্বাস্থ্যের গত ১৪ নভেম্বর দেয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের টেকনিক্যাল কমিটির সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে আমরা জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড অ্যান্টিবডি কিটের জন্য ইউএস এফডিএ’র আমব্রেলা গাইডলাইন নীতিমালা অনুসরণে সংবেদনশীলতা ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত করেছি, তা প্রমাণের জন্য এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউএস আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে কিট পরীক্ষার মতো সক্ষমতা বিএসএমএমইউ ও আইসিডিডিআরবি’র ছিল না। তবে গত কয়েকমাসে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দুটি সেই সক্ষমতায় পৌঁছেছে। এ তথ্য জানার পর বিএসএমএমইউ ও আইসিডিডিআরবিতে কিটের এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন করাতে চেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এ বিষয়ে অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে এ আবেদন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট উদ্ভাবন প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, এবার আমরা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছ থেকে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে এখনো কোনো অফিসিয়াল চিঠি পাইনি। তবে আশা করছি অতি দ্রুত তারা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে এবং আমাদের অনুমোদন দিয়ে চিঠি দেবে। তিনি আরো বলেন, আগে বিএসএমএমইউতে কিট পরীক্ষা করাতে আমাদের চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। এবারও ইউএস আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে কিট পরীক্ষার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
করোনা মহামারি শুরুর কিছু দিন পরেই গত ১৮ মার্চ অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন ডায়াগনস্টিক কিট উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গত ৩০ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে সেই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
বিএসএমএমইউ পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা পাওয়া গিয়েছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ ও নির্দিষ্টতা ৯৬ শতাংশ। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছিল, ইউএস আমব্রেলা গাইডলাইনের আলোকে কিটের সর্বনিম্ন সংবেদনশীলতা ৯০ শতাংশ ও নির্দিষ্টতা ৯৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।