পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্দনায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুকম্পায় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, সংসদের দুটি আসনের মালিক বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী ও এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বীর বিক্রমের মধ্যে ‘মোদি বন্দনার প্রতিযোগিতা’ শুরু হয়েছে। বন্দনা এমন পর্যায়ে গেছে যে তাঁদের কেউ কেèরু মোদিকে মোদিজি সম্বোধন করেন। মোদির বক্তব্যের প্রশংসার মাধ্যমে তোয়াজ করে কে দিল্লির সাউথ বøককে খুশি করতে পারেন চলছে যেন সেই প্রতিযোগিতা। তিন সিনিয়র নেতার মোদী তোয়াজ দেশে মনে হচ্ছে দেশের মানুষ নয়, মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া নরেন্দ্র মোদীই যেন জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা ও এলডিপিডর রাজনৈতিক নিয়ন্তা হয়ে গেছেন। নরেন্দ্র মোদি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও বার্তায় অংশ গ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে আরো কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা ভিডিও বার্তায় অংশ গ্রহণ করেন। অন্যদের বক্তব্য এই নেতাদের আকৃষ্ট করেনি। শুধু মোদির বক্তব্য পছন্দ হওয়ায় তারা মোদি বন্দনায় মেতে উঠেছেন। অবশ্য দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বি চৌধুরী ও জিএম কাদেরের এই মোদি বন্দনাকে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা হিসেবে অবিহিত করেছেন।
মোদির ওই ভাষণকে ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধি এবং বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের কথা হিসেবে অবিহিত করে বিকল্পধারার অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের অনুভ‚তির প্রতিধ্বনি করেছেন। মোদির বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি অনেক ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধি করায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন। তিনি আরো বলেন, আজকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, সামাজিক সফলতার মাইলফলকগুলো যেভাবে আমরা দ্রæতগতিতে অতিক্রম করছি, তাতে ভারতের অংশীদারিত্ব রয়েছে। দু’দেশের পারস্পারিক সমস্যা সমাধান এবং বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
এর আগে ১৮ মার্চ নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যকে বাংলাদেশের মানুষের একান্ত অনুভুতি দাবি করে জিএম কাদের বলেছেন, মোদিজী জ্ঞানদীপ্ত ভাষণে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তাঁর এই ভাষণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বেগবান ও গতিশীল হবে। দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান নিবিড় সম্পর্ক আরো গভীরতর করতে এবং অমিমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের পথকে সুগম করবে। মোদি দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের সোনালী অধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। দু’দেশের এই সম্পর্ক আগামী দিনে যে আরো অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। মোদিজির বক্তব্য নিশ্চয় আমাদের আশান্বিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা বন্ধুপ্রতীম দুই দেশ আগামী দিনে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, উন্নতি, অগ্রগতির পথে আরো এগিয়ে যাবো এই প্রত্যাশা রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদির সু-স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
এদিকে এলডিপির প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম (অব.) বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৃতপ্রায় সার্ককে উজ্জীবিত করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। উপমহাদেশের দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে হলে ভারতকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সকলের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এক বিবৃতিতে কর্নেল অলি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই উদ্যোগ সার্কভ‚ক্ত দেশগুলোর উন্নয়নের পথ সুগম করবে। পরস্পর পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং উন্নয়নম‚লক কর্মকাÐ আরও স¤প্রসারিত ও ত্বরান্বিত করতে হবে। তিনি নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার উদ্যোগ সফল হোক এবং জন মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। উপমহাদেশের রাজনীতিতে জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।