Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

থানকুনি পাতায় করোনা মুক্তির গুজব!

রাত জেগে পাতা কুড়ানোর হিড়িক

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

নেছারাবাদে করোনা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন পীরের বরাতের নামে গুজব ছড়িয়ে থানকুনি পাতা খাওয়ার হিড়িক পড়েছে। যখন বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রে করোনা আতঙ্কে লাখ লাখ মানুষ। ঠিক তখনি গত বুধবার দিবাগত রাতে করোনা মুক্তির জন্য থানকুনি পাতা খাওয়ার গুজবে রাতের গুম হারাম করে পাতা টোকানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পরে। তবে এমন গুজবকে পাত্তা দেয়নি শিক্ষিত সচেতনজনেরা।
তারা বলছেন, যেখানে মরণঘাতি করোনা রোধের জন্য বিশ্বের বড় বড় গবেষকরা দিনের পর দিন নির্ঘুম রাত জেগে কাজ করছেন। সেখানে এ রমক একটি অলৌকিক বিষয় গুজব ছাড়া আর কিছুই না। এদিকে একটি নির্দিষ্ট দিনে মাত্র দুইটি থানকুনি পাতা খেলে মুক্তি মিলবে করোনার এমন খবরে অনেকেই আবার রাত জেগেই বনে বাগানে গিয়ে পাতা কুড়িয়ে পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। কেউ আবার থানকুনি পাতা ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছেন নিজের নানা অভিমতও। কেউ বলেছেন এটা, একটা শিরকের সামিল। কেউ বা আবার বলেছেন মুক্তি মিলতেও পারে।
এ ব্যাপারে ছারছীনা আলেয়িয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. সৈয়দ শরাফত আলী বলেন, এরকম কোন কথা তাদের দরবার থেকে বলা হয়নি। এটা গুজব। সৈয়দ শরাফত আলী আরো বলেন, থানকুনি পাতা একটা আল্লাহর নেয়ামত। এটা খেলে উপকার ছাড়া, কোন কোন ক্ষতি নেই। এটা কোন শিরকের মধ্য পড়ে না।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, যেখানে বড় বড় বিশ্বের গবেষকরা করোনা নিরাময় ও প্রতিরোধের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছেন। সেখানে এ ধরনের একটি বিষয় হাস্যকর ও গুজব ছাড়া, আর কিছুই নয়। তবে তিনি বলেন, যেহেতু থানকুনি পাতা একটি উপকারি জিনিস। সেহেতু যে কেউ শরীরের উপকারের জন্য খেতে পারে এতে কোন বিধি নিষেধ নেই।
নেছারাবাদ থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গত বুধবার ভোর রাতে মোবাইলে এরকম একটি খবরের কথা শুনেছি। এটা গুজব। তাই তিনি কাউকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: থানকুনি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ