মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সতর্কতার মাত্রা না বাড়ালে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে আমেরিকায়। এবং এই সংখ্যাটা ব্রিটেনের ক্ষেত্রে ৫ লাখ। এমনটাই দাবি করেছেন ব্রিটেনের গবেষকরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের মোকাবিলায় আমেরিকায় প্রবেশে ইউরোপীয়দের উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বার ওই পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে বরিস জনসন সরকারও।
সোমবার থেকেই করোনা মোকাবিলায় আরও কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে বরিস জনসন সরকার। মূলত, ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পর্যবেক্ষণের পরই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথেমেটিক্যাল বায়োলজির এক অধ্যাপক নিল ফার্গুসনের নেতৃত্বে যে পর্যবেক্ষণে দাবি করা হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় আরও কড়া না হলে ব্রিটেনে মৃত্যু ছুঁতে পারে ৫ লাখ।
সাম্প্রতিক কালে চিন ছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যুর হার হু হু করে বেড়েছে ইটালিতে। ইতিমধ্যেই আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সে দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩১ হাজারেরও উপরে। সেই ইটালি থেকেই করোনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ওই পর্যবেক্ষণ করেছে ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষকরা। ১৯১৮ সালে বিশ্ব জুড়ে ফ্লু-এর কারণে যে অতিমারি হয়েছিল, তার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে করোনাকে। গোটা বিশ্বে ৫ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কেবলমাত্র ব্রিটেনেই তাতে মৃত্যু হয়েছিল ২ লাখ ২৮ হাজার মানুষের। গবেষকদের দাবি, এখনই সতর্ক না হলে মৃত্যুর হারে সে সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাবে ব্রিটেন। ব্রিটেন ছাড়াও করোনাভাইরাসের কোপে কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ২২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। হোম আইসোলেশনের মতো পদক্ষেপ করলেও এই সংখ্যায় বেশি হেরফের হবে না বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
করোনা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ না করার অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে। জনস্বাস্থ্য বিশষজ্ঞদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। তবে এই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার পর করোনা মোকাবিলায় আরও সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে করোনা মোকাবিলায় পরিকল্পনা আরও দ্রুত রূপায়ণের চেষ্টা শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও বলছেন, ব্রিটেন ক্রমশ যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘আমরা যে সব পদক্ষেপ করা উচিত, করেছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এমন পদক্ষেপ নজিরবিহীন। সংক্রমণ রুখতে এটাই করতে হবে।’ শুক্রবার থেকে স্কুল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্য প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ও মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৩০০ জন। এছাড়া ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।