পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভয়াবহ ধসের কবলে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণাও ধস ঠেকাতে পারছে না। এই পতনের কবলে পড়ে শেষ ১০ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৮৬৩ পয়েন্টই নেই হয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপে বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ব শেয়ারবাজারে ধস চলছে। যার নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও। তবে ৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ পেলে আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এর প্রভাবে ৯ মার্চ শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স একদিনে রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর একে একে আট দিন চলে গেলেও বড় ধসের কবল থেকে বেরোতে পারেনি শেয়ারবাজার। শেয়ারবাজরে একের পর এক বড় ধস নামায় ১৬ মার্চ ব্যাংক মালিক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে ব্যাংকগুলো বুধবার (আজ) থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তবে এ ঘোষণাও শেয়ারবাজারের ধস ঠেকাতে পারেনি।
অবশ্য গতকাল দিনের লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। এতে মাত্র ৫ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১০৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এই উত্থান প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা পার না হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১৬৮ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৬০৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০৩ পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে ৮৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া মাত্র ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩৩টির। আর ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পতনের এই বাজারে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪২৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৪৪২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২১টির এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।