পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে উচ্চ আদালত এবং নিচারিক আদালত বন্ধ রাখা হবে কি না-এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বিচারপতিগণের বৈঠকে। আগামী ২৮ মার্চের আগেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে-বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান। মুজিবর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ অংশ নেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন। বতর্মানে উচ্চ আদালতে অবকাশ চলছে। বিচারপ্রার্থীসহ সবার বিষয় চিন্তা করে অবকাশের পর আদালত কীভাবে চলবে, এ ব্যাপারে আমরা সব বিচারপতি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আপনারা বলেছেন করোনাভাইরাস নিয়ে। আমরা এটা নিয়ে সচেতন। আমরা সব জজ সাহেব বসে সিদ্ধান্ত নেবো-এ নিয়ে কী করা যায়। আপাতত কোর্ট বন্ধ আছে। কোর্ট খোলার আগেই আমরা সবাই একবার বসব। মানুষ ও বিচারপ্রার্থী জনগণ যারা আছেন, তাদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছু খেয়াল রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। কোর্ট খোলার আগেই সিদ্ধান্ত নেবো। তখন এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানানো হবে।
নিম্ন আদালতের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালত তো সুপ্রিমকোর্টের অধীন। সুতরাং আমরা সব ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নেবো। কারণ হাজার হাজার লাখ লাখ বিচার প্রার্থী মানুষের কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে। কোর্ট পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হলে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যেতে পারে। অনেকে জরুরি বিষয়াদি নিয়ে আদালতে আসেন। সুতরাং এগুলো নিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেবো সবাই একসঙ্গে বসে।
বৃক্ষরোপনের আগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন হবে নিম্ন আদালত, সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালতে। এটি বছরব্যাপী হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী হবে। বৃক্ষ রোপণের শুরুতেই প্রধান বিচারপতি ‘কুরচি’ নামে গাছের চারা রোপণ করেন। পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ‘কাঞ্চন’ গাছের চারা রোপণ করেন। ‘বকুল’ রোপণ করেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ‘পলাশ’ রোপণ করেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। ‘শিমুল’ রোপণ করেন বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং ‘শিউলি’র চারা রোপণ করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।