মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে অনেকেই পাত্তা দেননি। সেই সঙ্গে চীনের দেওয়া তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি বহুবার প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন পশ্চিমারা।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এবং পশ্চিমা কিছু রাজনীতিবিদ এ ঘটনায় চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং কমিউনিস্ট পার্টিকে দুষেছে।
তবে, ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের অধ্যাপক মার্টিন জ্যাকুইস একেবারে ভিন্ন কথা বলছেন। গ্লোবাল টাইমসের সাংবাদিক সান ওই এবং ইয়ান ইয়ুনমিং তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। ওই দুই সাংবাদিককে মার্টিন জ্যাকুইস বলেছেন, পশ্চিমাদের তুলনায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের সক্ষমতা অনেক বেশি।
চীনের করোনাভাইরাস মোকাবেলার সংগ্রাম সম্পর্কে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে, চীন এই লড়াই চালানোর দিক থেকে সবার উপরে অবস্থান করছে। তারা কেবল উহানের মধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে। এটা সত্যিই উৎসাহজনক।
তিনি আরো বলেন, এই ভাইরাসটি যেহেতু নতুন, শুরুতে এর প্রভাব বুঝে উঠতে পারেনি চীন। কারণ, চীন সরকার (তখন) জানে না যে, এটি কী। নতুন এই ভাইরাস মানুষের কাছে ছিল অজানা। সে কারণে এ ব্যাপারে শুরুতে কিছুটা ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এটির উৎপত্তি চীনের উহান শহরে হয়েছে। এর ভয়াবহতা বুঝে উঠতে দেরি হয়েছে এবং সে কারণে পদক্ষেপ নিতেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সবসময় মাথায় রাখা দরকার- এটি নতুন ভাইরাস। কেউ এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানে না। চীনের সমস্যা এবং অন্যদের আলাদাভাবে সমস্যার ধরন ভিন্ন। চীন একেবারে নতুন ভাইরাসের মুখোমুখি হয়েছে। প্রত্যেকর উচিৎ চীনের কাছ থেকে শেখা। কারণ, তারা জানে যে, করোনাভাইরাস কী। তারা সবকিছু গুলিয়ে ফেলেনি।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি এ ধরনের জাতীয় জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় চীনের সক্ষমতা পশ্চিমা যে কোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং অনেক বেশি কার্যকরী। চীনের নীতি এবং চীনের সরকার এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্য সরকারের চেয়ে অনন্য।
আর এক্ষেত্রে দু'টি কারণ আছে। প্রথমত, কার্যকর পদক্ষেপ, কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং সমাজকে সচল করতে সক্ষম চীন। দ্বিতীয়ত, সে দেশের নেতাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী রয়েছে এবং অন্যরা নেতৃত্ব মেনে চলে। চীন যেভাবে কাজ করেছে, সে তুলনায় পশ্চিমাবিশ্বের দেশগুলো অনেক ধীর গতির বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।