পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনারভাইরাসের আতংকে বিপর্যস্ত দেশের শেয়ারবাজার। এর প্রভাবে গতকাল রোববার একদিনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। আর গত ৭ কার্যদিবসে কমেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। গতকাল ডিএসইর মূল্যসূচক কমেছে ১৬০ পয়েন্ট। আর এনিয়ে প্রায় ৭ বছর পর ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে ডিএসইর মূল্যসূচক। বাজারের এই পরিস্থিতি অতীতে যে কোনো সময়ের চেয়ে শোচনীয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু করোনা নয়, নজিরবিহীন এ পতনে পেছনে কারসাজি থাকতে পারে। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা জড়িত থাকতে পারে। এই কারসাজি চিহ্নিত করে বাজার রক্ষায় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এদিকে বাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে রোববার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এই বৈঠকে শেয়ারবাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ধরনের নীতি সহায়তার আশ্বাস দেয়া। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যযায়। ফলে বাজারের অবস্থা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর সূচক ৩ হাজার ৭৯২ পয়েন্টে ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে সব প্রতিষ্ঠান আগে বিনিয়োগকারীদের ঋণ দিয়েছিল, তারা গতকাল শেয়ার বিক্রি করেছেন। এতে বাজারে লাগামহীন পতন হচ্ছে। ওয়েব সাইটের তথ্য অনুসারে গত ৩ মার্চ ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। গতকাল পর্যন্ত তা কমে ৩ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এ হিসাবে ৭ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজারমূলধন কমেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর একক দিন হিসাবে রবিবারই কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। ডিএসইতে ৩৫৫টি কোম্পানির ১৬ কোটি ৯১ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৩৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ১০টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৩৩৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারেরাম। ডিএসইর ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৬০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৩৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে ৯২৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে ছিল- মুন্নু সিরামিক, গ্রামীনফোন লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকে বাংলাশে, সামিট পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ওরিয়ন ইনফিউশন, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল টিউবস। ডিএসইতে যে সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হল- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, মুন্নু সিরামিক, অ্যাপেক্স স্পিনিং, আজিজ পাইপ, মতিন স্পিনিং, গ্রীন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, বিজিআইসি, সী পার্ল বীচ, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। অন্যদিকে যে সব কোম্পানির শেয়ারেরাম বেশি কমেছে সেগুলো হল- অ্যাপোলো ইস্পাত, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আইডিএলসি, শ্যামপুর সুগার মিল, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স, জিল বাংলা সুগার মিল, মেঘনা সিমেন্ট, সোনারগা টেক্সটাইল, সমতা লেদার এবং মেট্রো স্পিনিং।
অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৪৮৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৪টির এবং চারটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।