বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাল্যবিবাহ ঘটনার তিনদিন পর শনিবার বিকালে যাদবপুর ইউপি কাজী হেলাল উদ্দিনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমাউল হুসনা লিজা এ দন্ড প্রদান করেন। এর পূর্বে একই ঘটনায় বাল্যবিবাহের অপরাধে কাজীর সহযোগীকে এক বছর, বর, বরের বাবা ও চাচাকে ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।ঐ সময় কনের মা, দাদা, বড়ভাই ও কনের খালাতো ভাইকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার রাত ১০ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা এ আদেশ দেন।জানা যায়, গত বুধবার উপজেলার বোয়ালী গ্রামের সিরাজ মিয়ার প্রবাসী ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। ওই বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের কাজী হেলাল উদ্দিনের সহকারী ও বোয়ালী ডিগ্রি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক নাসির উদ্দিন। খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে ইউএনও এ বাল্যবিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধরে এনে নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান। পরে কাজীর সহকারী (সাব কাজী) নাসির উদ্দিনকে এক বছর, বর রফিকুল ইসলাম, বরের বাবা সিরাজ মিয়া এবং চাচা আলম মিয়াকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন। অন্যদিকে কনের মা, কনের দাদা, কনের বড়ভাই ও কনের খালাতো ভাইকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এ ঘটনায় যাদবপুর ইউনিয়নের কাজী হেলাল উদ্দিনকেও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।এ সময় কাজী হেলাল উদ্দিন পালিয়ে গিয়েছিল।ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, সখিপুরে আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকের এ সাজা সকলের জন্যই সতর্কবাণী হবে বলে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।