মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ২০১৫-১৯ সময়কালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক হিসেবে তার অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে। আর ভারতের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ এখনো রাশিয়া। তবে তা আগের ৭২ ভাগ থেকে কমে ৫৬ ভাগে নেমে এসেছে। অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়গুলোতে নজরদারি করা শীর্ষস্থানীয় একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এ তথ্য জানিয়েছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) সোমবার তার বার্ষিক ‘টেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আমর্স ট্রান্সফার ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৫ বছরের সময়কালে বৃহত্তম ৫টি অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ছিল সউদী আরব, ভারত, মিসর, অস্ট্রেলিয়া ও চীন। এই দেশগুলো মোট অস্ত্রের ৩৬ ভাগ আমদানি করে। ২০১০-১৪ সময়কালেও সউদী, ভারত ও চীন ছিল শীর্ষ ৫ আমদানিকারকের তালিকায়। পাকিস্তান ছিল বিশ্বের অস্ত্র আমদানিকারকদের তালিকায় ১১তম স্থানে।
কয়েক বছর ধরেই সিপরি’র অস্ত্র আমদানিকারক তালিকায় সউদী আরবের পরেই ভারত অবস্থান করছে। ভারত যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, সাবমেরিন, রণতরী, কামান, অ্যাসাল্ট রাইফেল ইত্যাদি অস্ত্র রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইসরাইলের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন করছে।
সিপরি তথ্য অনুযায়ী ২০১৫-১৯ সময়কালে, ভারত আরো কয়েকটি দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে থাকে। এসবের মধ্যে রয়েছে ডেনমার্ক থেকে স্ক্যান্টার-৬০০০, জার্মানির কাছ থেকে অ্যাকটাস সোনার সিস্টেম, ইতালি থেকে সুপার রেপিড ৭৬ এমএম নেভাল গান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কে-৯ থান্ডার ১৫৫ এমএম আর্টিলারি গান। রফতানিকারকদের তালিকায় ভারতকে ২৩তম স্থানে রাখা হয়েছে। দেশটির অস্ত্র সবচেয়ে বেশি কিনে থাকে মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও মৌরিশাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ বছর মেয়াদে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশ থেকেই ভারতের অস্ত্র আমদানি হ্রাস পেয়েছে। তবে রাশিয়ার সাথে অনেক আলোচিত অস্ত্র চুক্তি করলেও দেশটি থেকে আমদানি হ্রাস পেয়েছে। রাশিয়ার অস্ত্র রফতানির ২৫ ভাগ হয়ে থাকে ভারতে।
এতে বলা হয়, ২০১০-১৪ ও ২০১৫-১৯ সময়কালে রাশিয়া ছিল ভারতের বৃহত্তম সরবরাহকারী। তবে সরবরাহ ৪৭ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। ফলে রাশিয়া থেকে ভারতের অস্ত্র আমদানি ৭২ ভাগ থেকে কমে হয়েছে ৫৬ ভাগ। ২০১৫-১৯ সময়কালে রাশিয়ার মোট রফতানির ২১ ভাগ হয়েছিল ভারতে।
২০১০-১৪ সময়কালে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারীতে পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যকার নিরাপত্তা সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত হওয়ায় ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রফতানি বেড়েছে। তবে ২০১৫-১৯ সময়কালে ভারত তার অস্ত্র আমদানির উৎস নানামুখী করা অব্যাহত রেখেছে। ২০১০-১৪ সময়কালের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ৫১ ভাগ কমেছে।
অন্যদিকে ইসরাইল ও ফ্রান্সের অস্ত্র আমদানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৭৫ ও ৭১৫ ভাগ। তারা ২০১৫-১৯ সময়কালে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারীতে পরিণত হয়।
এশিয়ায় ২০১০-১৪ সময়কালের তুলনায় মোট মার্কিন অস্ত্র রফতানি ২০ ভাগ কমেছে। এর কারণ হলো ভারত (-৫১ ভাগ), পাকিস্তান (-৯২ ভাগ), সিঙ্গাপুর (-৬০ ভাগ), দক্ষিণ কোরিয়া (-৩৪ ভাগ) ও তাইওয়ানে (-৩৮ ভাগ) যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি কমেছে।
২০১০-২০১৪ ও ২০১৫-২০১৯ সময়কালে ভারত ও পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানি যথাক্রমে ৩২ ভাগ ও ৩৯ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। উভয় দেশই নিজ দেশে অস্ত্র তৈরির দিকে নজর দিলেও তারা মূলত আমদানিনির্ভর। তারা প্রধান সব অস্ত্রই আমদানি করে থাকে।
চীন থেকেই পাকিস্তান ২০১০-১৪ সময়কালে ৫১ ভাগ ও ২০১৫-১৯ সময়কালে ৭৩ ভাগ অস্ত্র আমদানি করেছে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার কারণেই পাকিস্তানের সার্বিক অস্ত্র আমদানি হ্রাস পেয়েছে। ২০১০-১৪ সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান তার অস্ত্রের ৩০ ভাগ আমদানি করেছিল, কিন্তু ২০১৫-১৯ সময়কালে তা হ্রাস পেয়ে হয় মাত্র ৪.১ ভাগ।
তুরস্কের কাছ থেকে পাকিস্তান তার অস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছে ২০১৮ সালে ৩০টি যুদ্ধ হেলিকপ্টার কেনার অর্ডার দিয়ে। সূত্র: দ্য মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।