Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্ত্রাস দমনে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে

প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফতাব চৌধুরী
সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদ বর্তমান বিশ্বে একটি বহু আলোচিত, নিন্দিত এবং ধিকৃত বিষয়। যতই ধিকৃত হোক না কেন আধুনিক বিশ্বে অন্যান্য মতবাদের মতো এ মতবাদও আজ বিশেষ মতবাদরূপে নিজের স্থান করে নিয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদের নবমূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদকে প্রকৃতপক্ষে কিভাবে ব্যবহার ও প্রয়োগ করা হচ্ছে তা বিশ্লেষণ করার সামান্য চেষ্টা এখানে করা যেতে পারে। স্বভাবসিদ্ধ লেখকদের কাছে কঠিন কথাকে সহজ করে বলাটা যতই সহজ হোক না কেন, সহজ করে সহজ কথা বলাটা কিন্তু ভীষণ কঠিন। এই লেখকের ক্ষেত্রে একটা সুবিধা এই যে, তিনি বড় কোনো লেখক নন। তাই কোনো বক্তব্যকে সোজাসুজি পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে কোনো সঙ্কোচ, ভয় বা দ্বিধা করার কোনো অবকাশ নেই। সাধারণভাবে সন্ত্রাস বলতে আমরা বুঝি ত্রাস বা ভয়ের সৃষ্টি। ত্রাসের সৃষ্টি করে অর্থাৎ ভীতি প্রদর্শন করে নিজ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করাই এ মতবাদের উপজীব্য। সন্ত্রাস বিষয়টি কিন্তু মোটেই নতুন কিছু নয় বরং বলা যায় সন্ত্রাস হচ্ছে একটি আদিম এবং চিরন্তন প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২৮ মে ২০০৮ বুধবার কলোরোগতে মার্কিন বিমানবাহিনী অ্যাকাডেমির নতুন গ্র্যাজুয়েটদের কমেন্সমেন্ট অনুষ্ঠানে দেয়া এক ভাষণে ইরাক ও আফগানিস্তানে ইসলামী চরম পন্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে তুলনা করেছিলেন।
বলেছিলেন, আজ একবিংশ শতাব্দীতে পৌঁছে আবারো আমরা এক মতাদর্শের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি, যা ক্ষোভ, ঘৃণা ও হতাশা ছড়াচ্ছে। আর সেটি হচ্ছে ইসলামী চরমপন্থা। একথা শুনে মনে হলো বুশ মহোদয় হয়তো জানেনই না বা অনেক কিছু জেনেও না জানার ভান করে মাঝে মধ্যে এভাবে উদ্ভট কথাবার্তা বলে থাকেন।
বুশ সাহেব ভালো করেই জানতেন, ইসলাম সন্ত্রাস, বোমাবাজি, আত্মঘাতী হামলা, হত্যাকা-, মারামারি, হানাহানি পছন্দ করে না। ইসলামী জীবনবিধানে এসবের কোনো স্থানও নেই। ইসলামের অনুশাসন হলো দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। একথা ঠিক বিশ্বমানবতা আজ সন্ত্রাসবাদের তা-বলীলায় ভীতসন্ত্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত। সন্ত্রাসবাদ বিশ্ব মুসলিম ও মানবতাবাদের চিরশত্রুতে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো গোত্রীয়, জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচয় নেই। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য পুরো জাতি বা কোনো ধর্মকে সন্ত্রাসী চরিত্রে আখ্যায়িত করা কোনো বিবেকসম্পন্ন বুদ্ধিমান লোকের কাজ নয়। ইসলামের শান্তির বাণী, মুসলমানদের সুন্দর আচরণ ও কর্মকা-ে মুগ্ধ হয়ে যেখানে ভিন্ন ধর্মালম্বীরা ইসলাম গ্রহণ করছেন, সেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী একজন প্রকৃত মুসলমান কখনো কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত হতে পারে না। সমাজের প্রতিটি ধর্মানুরাগী মানুষের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করাই ইসলাম ও মুসলমানদের মূল শিক্ষা। মানবতা বিবর্জিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি ও আত্মঘাতী হামলা ইসলামে সর্বাপেক্ষা বড় অপরাধ বলে বিবেচিত। হাদিসে উল্লেখ আছে, দুনিয়া ধ্বংস করে দেয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা (তিরমিজি)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলমানদের মধ্যমপন্থী জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মধ্যমপন্থা, ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ ও অবস্থা মুসলমানদের চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাই চরমপন্থা, ফেতনা, ফ্যাসাদ, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকে ইসলাম একদমই সমর্থন করে না।
এ জাতীয় কর্মকা- ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম বলেই বিবেচিত। ইসলাম হচ্ছে সিরাতুল মুস্তাকিম বা কুসুমাস্তীর্ণ পথ। এ পথের পথিক হবে শান্তিকামী, সুস্থ, সুন্দর ও সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মানুষের প্রতি দয়া-মায়া-মমতা ও শ্রদ্ধা- ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার সুমহান শিক্ষা তো ইসলামেরই। সমাজে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, অনিরাপত্তা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মতো ঘৃণ্যতম কাজকে ইসলাম কখনো অনুমোদন করে না। মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘোষিত হয়েছে নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল, আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করল সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল। সূরা আল মায়িদা, আয়াত-৩২।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে শান্তির ধর্ম ইসলাম কঠোর দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে। পৃথিবীতে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেয়া না হলে নৈরাজ্যের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে। ইসলামের আলোকে যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচলিত আইনে সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার করা হয়, তাহলে আর কেউ সন্ত্রাস করতে সাহস পাবে না। পবিত্র কুরআনে হত্যাকা-কে মহা অপরাধ সাব্যস্ত করে ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে হত্যা করলে তার কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কোনো মুমিনের জন্য সমীচীন নয় যে, সে অন্যায়ভাবে অন্য ধর্মের কাউকে বিনা অপরাধে হত্যা করবে। আর কেউ স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন ও তাকে অভিশপ্ত করেছেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। (সূরা আন নিসা, আয়াত ৯২-৯৩)।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন পর্যায়ে সভ্য সমাজে যেভাবে ফেতনা ফ্যাসাদ ও সন্ত্রাসবাদ চলছে, সর্বস্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, এতে যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে তেমনি ধর্মীয় কর্মকা-ে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। ইসলামের নামে  কেউ যদি সন্ত্রাস করে, বোমাবাজি করে, মানুষকে হত্যা করতে চায় তাহলে আমরা বলব তারা ইসলাম ধর্মকে নেতিবাচক ধর্ম হিসেবে তুলে ধরতে চায়। মূলত ইসলাম যে শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের ধর্ম তা তাদের সঠিকভাবে জানা নেই। ইসলামের নামে যেসব উগ্রবাদী বিভিন্ন দেশে নানা পর্যায়ে আত্মঘাতী হামলাসহ মানবতা বিবর্জিত ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে, বাস্তবিকই তারা ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কহীন বটে। যদি পরিকল্পিতভাবে বোমা মারা হয়, তাহলে বোঝা যাবে সেগুলো ফেতনা। সমাজে ফেতনা প্রতিরোধে কথা ও কলমের জিহাদ অব্যাহত রাখতে হবে। এমনিভাবে ভূপৃষ্ঠে ফেতনা-ফ্যাসাদ, বিপর্যয় নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করাকে হত্যার চেয়েও জঘন্যতম অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে। নবী করিম সা: বলেছেন, সমাজে ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা হত্যার চেয়ে জঘন্যতম অপরাধ।
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম হলো নরম পন্থার ধর্ম। চরমপন্থী, বাড়াবাড়ি, জোরজবরদস্তি ও বলপ্রয়োগ ইসলাম কখনো অনুমোদন করে না। মানুষকে খুন করে পৃথিবীতে বোমাতঙ্ক সৃষ্টি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কল্পিত মনগড়া ব্যাখ্যার সঙ্গে ইসলামের দূরতম সম্পর্কও নেই। ইসলামের অভ্যুদয় থেকে ১৪০০ বছরের ইতিহাসে ইসলামের মূলধারার কোনো আন্দোলন অসি শক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়নি। বরং আদর্শিক মহানুভবতা, ক্ষমা, উদারতা ও নৈতিক শক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলাম ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। তাই আংশিক বা খ-িত ইসলাম এবং ইসলামের বিকৃত অপব্যাখ্যা থেকে মুসলমানদের সজাগ ও সচেতন থাকা দরকার। সাময়িক উত্তেজনা বা সস্তা আবেগের বশবর্তী হয়ে চরমপন্থা গ্রহণ বা বাড়াবাড়ির অবকাশ ইসলামে নেই। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে মন্দ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যারা সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত হয়, তাদের হদয় ভালোবাসাহীন, মানবতাবর্জিত, মায়া-মমতাহীন, দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য। তাদের কোনো ধর্ম নেই। নিরপরাধ মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করতে এরা দ্বিধাবোধ করে না। ইসলাম মানেই শান্তি। ইসলামের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। সন্ত্রাস, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সংঘাতমুক্ত পৃথিবীর প্রয়োজনে ইসলামের শান্তিপ্রিয় ও কল্যাণধর্মী আদর্শ এখন সময়ের দাবি। মানুষের সামগ্রিক জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানে ইসলাম এক অনন্য কালজয়ী আদর্শ। ইসলামে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলামের স্বভাব সম্পর্কে জানতে হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা:-এর জীবনচরিত অধ্যয়ন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সা: কখনো একজন মানুষকে গুপ্তহত্যা করেননি বা কাউকে এ কাজ করতে বলেনওনি। ইসলামের সমরনীতি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। মহানবী সা: বলেছেন, তোমরা আগে অস্ত্র উত্তোলন করো না বা অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করো না।
ইসলামের যুদ্ধনীতি প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়, এমনকি প্রতিশোধমূলকও নয়। জেহাদ মানেই যুদ্ধ নয় বা হুট করে গিয়ে কাউকে হত্যা করা নয়। জেহাদ মানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা। প্রচেষ্টায় সব ব্যক্তিই নিজ নিজ কুপ্রবৃত্তি দমনের ক্ষেত্রে আজীবন সংগ্রাম করবেন। আর সমরাস্ত্রের ব্যবহার হবে প্রকাশ্য ময়দানে এবং ঘোষণা দিয়ে বিশেষ অর্থে অস্ত্রসমেত জেহাদ রাষ্ট্রের নেতৃত্বে আক্রান্ত অবস্থায় দেশের শত্রুর বিরুদ্ধে হবে। ইসলামে জেহাদের অর্থ কাউকে নির্মূল করাকে বোঝায় না। জেহাদের নাম করে যারা অশান্তি সৃষ্টি করছে, তারা হয় জ্ঞানপাপী না হয় অন্যের হয়ে এসব করছে। বহু আগে থেকেই ইসলাম তরবারির ধর্ম বলে ইসলামের ওপর কালিমা লেপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কারো ঘরে বহিঃশত্রু কেউ আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার বিধান ইসলামে স্বীকৃত, যা আজো বিশ্বের সর্বত্র প্রচলিত। ইসলাম মানুষকে ভালোবাসতে বলে, হত্যা করতে নয়। সুন্দর প্রগতিশীল বিজ্ঞানসম্মত ও শান্তির ধর্ম ইসলাম মানবজাতিকে বিভক্ত করতে আসেনি, ঐক্যবদ্ধ করতে এসেছে। অধিকার হরণ করতে আসেনি, অধিকার দিতে এসেছে। সুতরাং বোমাবাজি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখানো অনুচিত। বিদায় হজের ভাষণে নবী করিম সা: বিনা অপরাধে একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।
ইসলামে চরমপন্থাকে জোরালোভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অথচ নবী করিম সা:-এর ঘনিষ্ঠ সাহাবি এবং ইসলামের তিনজন বিশিষ্ট খলিফাকে আততায়ীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। ইসলামের শত্রুদের প্রদত্ত আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমানেও কিছু চরমপন্থী এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনা করে যাচ্ছে। বিশ্বের কোনো কোনো দেশ কূটনৈতিক সমস্যার সমাধান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এখনো সেখানে রক্ত ঝরছে। ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে যারা যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করছে তাদের সংখ্যাও বেশি নয়। দেশের আলেম সমাজ, ধর্মীয় নেতা, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ উদ্ভূত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাদের সোচ্চার ও বলিষ্ঠ অবস্থান রেখে আমাদের ধর্মপ্রাণ জনগণকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর হলেই আর এ সমস্যা থাকে না। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ধর্মপ্রাণ মানুষকে সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। আসুন আমরা জাতি-ধর্ম-দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বোমাবাজদের নির্মূল করার লক্ষ্যে আল্লাহর মনোনীত মানবতার কল্যাণের ধর্ম ইসলামের পরম শান্তির বাণীকে ব্যাপকহারে প্রচার ও প্রসার করার চেষ্টায় ব্রতী হই।    
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সন্ত্রাস দমনে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ