পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোভিড-১৯ ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসেবে ১৪ দেশের নাগরিকদের কাতারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কাতার সরকার। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে কাতারের দোহাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলো বাতিল ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর একটি সূত্র ফ্লাইট বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ঢাকা থেকে সপ্তাহে ৪ দিন দোহা যেতো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে কাতারগামী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে একটি খালি ফ্লাইট দোহার উদ্দেশ্যে গিয়ে সেখান থেকে ঢাকায় আগতদের নিয়ে আসবে।
দোহায় সপ্তাহে ৪ দিন যাওয়া রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মকর্তা বলেন, কাতার সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার রাত থেকে ফ্লাইট কাতারে যাচ্ছে না। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে একমাত্র কাতার এয়ারওয়েজ কাতারের দোহায় যায়। নিষেধাজ্ঞার পরে ঢাকা থেকে তাদের দুটি ফ্লাইট কাতারে যায়। এতে শুধুমাত্র ট্রানজিট যাত্রীদের বহন করা হয়।
গত রোববার এক বিবৃতিতে কাতার জানায়, বাংলাদেশ, ইতালি, চীন, মিসর, ভারত, ইরান, ইরাক, লেবানন, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া এবং থাইল্যান্ড লোক আপাতত কাতারে আসতে পারবে না। যাদের কাতারে থাকার ইকামা আছে বা যারা পর্যটন ভিসা নিয়েছেন, কিংবা যারা অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পেতেন, সবার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে করোনার সংক্রমণে আতঙ্কিত না হয়ে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে আহ্বান জানানো হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইরান ফেরত এক কাতারি নাগরিকের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকে দেশটিতে উত্তেজনা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন কাতারের নাগরিক। বাকি ১২ জন কোন দেশের সেটি এখনও জানায়নি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখন্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।