নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তামিম-লিটনের ৯২ রানের জুটি। তামিম ৪১ রানে ফিরে গেলেও লিটন তুলে নেন তার ফিফটি। তারপর শেষে সৌম্য সরকারের হার না মানা ৬২ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ রানের দিক দিয়ে নিজেদের ছাড়িয়ে গেল টাইগাররা। এর আগে গেল বছর চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৫ রানই ছিল দলীয় সর্বোচ্চ। আর মিরপুর শেরে বাংলায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড গড়ল টিম টাইগার্স। এটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় দুইশ দলীয় সংগ্রহ।
শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৬২ রানে এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ১৪ রান। দুর্দান্ত সৌম্য সরকার মাত্র ৩২ বলে ৬২ রান করেই অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ৫টি ছয়ের মার। টি-টোয়েন্টিতে সৌম্য সবশেষ ফিফটি করেছিলেন ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুই বছর পর আজ ঢাকাতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির দেখা পেলেন এই বাঁহাতি। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা, মাদেভেরে এবং এমপফু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ২০০/৩ (তামিম ৪১, লিটন ৫৯, সৌম্য ৬২*, মুশফিক ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৪*; রাজা ৪-০-৩১-১, মুম্বা ২-০-২৪-০, টিরিপানো ৪-০-৩৯-০, এমপোফু ৪-০-৫৮-১, মাধেভেরে ২-০-১৫-১, উইলিয়ামস ৪-০-৩১-০)
ঝড় তুলে সাজঘরে মুশফিক
তামিম ও লিটন আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের হাল ধরেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটি ২.৫ ওভারে ১৪.১১ রান রেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন। মুশফিক মাত্র ৮ বল মোকাবেলা করে ২ ছক্কায় ১৭ রান তুলে ফেলেন। এরপর ক্রিস্টোফার এমপফুকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েন শন উইলিয়ামসের হাতে। ১৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৭/৩। ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
ফিফটি করে ফিরলেন লিটন
তামিম ইকবালের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি গড়েন। এরপর তামিম ফিরলেও তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১০৬ রানের মাথায় সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন লিটন। ৩৯ বল খেলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে যান তিনি।
ক্রিজে সৌম্যর (১২) সঙ্গে ব্যাট করতে এসেছেন মুশফিকুর রহিম (২)। ১৪ ওভার শেসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৭ রান।
তামিমের বিদায়, লিটনের অর্ধশত
ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে দুর্দান্ত সূচনার পর ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। ৩৩ বলে ৪১ রান করে মাদেভেরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউটে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ৯২ রানের জুটি। অবশ্য লিটন ঠিকই তার অর্ধশত রান তুলে নেন। তিনি অপরাজিত আছেন ৫০ রানে। ক্রিজে ব্যাট করতে এসেছেন সৌম্য সরকার। তিনি খেলছেন ১ রানে।
১১ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৫ রান।
তামিম-লিটনের দুর্দান্ত শুরু
তৃতীয় ওয়ানডে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন শুরু করেছেন লিটন দাস। শুরু থেকে চড়াও হয়েছেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর। সুইপ করে ছক্কায় খোলেন রানের খাতা। এরপর তার ব্যাট থেকে এসেছে দুটি চার। একটু সময় নিচ্ছেন তামিম ইকবাল। কার্ল মুম্বার বাজে ডেলিভারিতে পেয়েছেন একটা বাউন্ডারি। এরপর খেলছেন সিঙ্গেল নিয়ে।
৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫৯/০। তামিম ২৪ ও লিটন ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল জিম্বাবুয়ে
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ (সোমবার) মুখোমুখি দুই দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এই সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
এবার টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে মাহমুদউল্লাহদের। টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সময় উইলিয়ামস বলেন, উইকেট বেশ ব্যাটিং সহায়ক। রান তাড়া করাই তারা দেখছেন সুবিধাজনক। টস জিতলে মাহমুদউল্লাহও নিতেন ফিল্ডিং। ১৭০ থেকে ১৮০ ভালো স্কোর মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রভাব দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো করনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টি টোয়েন্টি সিরিজেও। ঢাকায় গতকাল করনায় আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সোমবার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যে পরিমাণ টিকিট ছাড়ার কথা ছিল তা ছাড়েনি বিসিবি। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার হলেও ম্যাচটির জন্য সাকুল্যে চার থেকে পাঁচ হাজার টিকিট ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রশাসন।
ইতিহাস বলছে টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী দলটির থেকে বেশ এগিয়ে টাইগাররা। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দুই দল এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। যেখানে স্বাগতিকদের জয় সাতটিতে। অপরদিকে জিম্বাবুয়ে জিতেছে চারটি ম্যাচ। জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরেছে। জিতেছে একটিতে। তবে বাংলাদেশ শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।