রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে ঈদের চতুর্থ দিনেও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। টানা চারদিন ধরেই দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বনকর্মী ও পার্ক কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ছুটে আসছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে। পার্কের মূল ফটকের সামনে পার্কিং এলাকাসহ আশপাশের রাস্তাঘাট ভরে গেছে যানবাহনে। পার্কের দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, শ্রীপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে বনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক। নিরাপত্তাকর্মীরা দিনভর নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায়। সবুজ বনানীর ভিতর প্রাকৃতিক পরিবেশে উন্মুক্ত পশুপাখি একেবারেই কাছ থেকে দেখতে দর্শনার্থীদের উৎসাহের সীমা নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে ভিতরে ঢুকেন দর্শনার্থীরা। পার্কের আফ্রিকান কুর সাফারী দর্শনার্থীদের কাছে অধিক প্রিয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে চড়ে উন্মুক্ত মাঠে একেবারেই কাছ থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, সাদা সিংহ, ভুল্লুক, জিরাফ, ওয়েল্ড বিস্ট, চিত্রা হরিণ পর্যবেক্ষণ আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করে। আগত দর্শনার্থীরা জানায়, এতদিন তারা খাঁচায় বন্দী প্রাণী দেখেছেন। এই প্রথম খোলা মাঠে হিংস্র প্রাণীদের কাছ থেকে দেখে বাড়তি আনন্দ পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে বাসে চড়েই হিংস্র প্রাণী পর্যবেক্ষণ ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যোগায়। সাফারি কিংডমে রয়েছে আকর্ষণীয় মেকাও গ্যালারি। খাঁচার ভিতর প্রবেশ করে দর্শনার্থীরা হাতের কাছে দেখতে পান বাহারি ম্যাকাও। বিনোদনের মাত্রায় যোগ হয় প্রজাপতি পার্ক, ফিস এক্যুরিয়াম। েেকউ কেউ বেড়ান হাতি চড়ে। ডার্ক গার্ডেন ল্যাকে পেডেল বুটে ভেসে বেড়ানোর সময় কাছ থেকেই দেখা যায় উন্মুক্ত হাজার হাজার দেশী-বিদেশী দুর্লভ প্রজাতির হাঁস। কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায় অনিন্দ্য সুন্দর বাহারী ময়ূর আর দুর্লভ ক্রাউন্ট ফিজিয়ান। বনের বাঁকে বাঁকে পায়ে হেঁটে দেখা যায়, উট পাখি, বানর, কচ্ছপ, কুমির, চিল, শকুন। লেকের পানিতে ভেসে বেড়ায় রং-বেরংয়ের মাছ। পার্কের ভিতর বাইরের খাবার প্রবেশ নিষেধ। দর্শনার্থীদের খাবার পানি যোগান দিতে রয়েছে টাইগার ও লায়ন রেস্তোরাঁ। এ দুটি রেস্তোরাঁয় বুকিং দিলেই সুবিধামত সব ধরনের খাবার মেলে। টাইগার রেস্টুরেন্ট ও লায়ন রেস্টুরেন্টে বসে দর্শনার্থীরা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন উন্মুক্ত মাঠে বাঘ ও সিংহের বিচরণ। কাঁচের দেয়ালের পার্শ্বে এক মিটারের মধ্যেই দেখা মিলে বাঘ ও সিংহের আনাগোনা। সূত্র মতে, ঈদের পর থেকে পার্কে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় বেড়েছে। ধারণ ক্ষমতার ৫/৬ গুণ বেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করায় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। প্রতিদিনই গড়ে ২৫/৩০ হাজার দর্শনার্থী পার্ক ভ্রমণে আসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের বিট কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, পরিবেশ ঠিক রাখতে তারা দিনভর নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিব প্রসাদ জানান, পার্কের দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশের পাশাপাশি বন কর্মীরা কাজ করছেন। গত চারদিনে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।