পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সার্জেন্ট জহুরুল হক ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনসহ বীর সন্তানদের জন্মভূমি নোয়াখালী জেলা। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত ও রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল নোয়াখালী জেলা। পরবর্তীতে ফেনী ও লক্ষীপুর মহকুমা জেলায় উন্নীত হলেও জাতীয় রাজনীতিতে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তেমনিভাবে জাতীয় রাজনীতির প্রভাবও এ জেলায় পরিলক্ষিত হয়। স্বাধীনতার পর প্রতিটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা দায়িত্ব পালন করে আসছে। এক কথায় দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি,আন্দোলন-সংগ্রামে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা প্রথম কাতারে।
বর্তমান রাজনীতির ময়দানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সক্রিয় রয়েছে। অপরদিকে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ অন্যন্য রাজনৈতিক দলগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে। অবশ্য বিএনপি পক্ষ থেকে বিস্তর অভিযোগ করা হয়েছে। হামলা, মামলা, পুলিশী হয়রানি এবং দলীয় কর্মসূচীতে পুলিশের বাধাপ্রদান। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড অনেকটা দায়সারা গোছের। দেশবিদেশে কোথাও মুসলমানদের ওপর আঘাত আসলে দু’একটি ইসলামী দলকে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায়। লক্ষনীয় যে, নোয়াখালী জেলার দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অভ্যন্তরে বড় ধরণের কোনো গ্রুপিং নেই।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সূবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল খায়রুল আনম সেলিম ডেলিগেটরদের সরাসরি ভোটে পুণরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খায়রুল আনম সেলিম দলীয় কর্মসূচীতে সক্রিয় রয়েছেন। দলটির সাধারন সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকায় বেশ তৎপর। মূলত এ আসনে তিনি আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান। যার সুবাদে এখানে আওয়ামী লীগ বেশ সক্রিয়।
এছাড়া চাটখিলের এমপি এইচ এম ইব্রাহিম, সেনবাগের এমপি মোরশেদ আলম, বেগমগঞ্জের এমপি মামুনুর রশিদ কিরন ও হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউসও তাদের নির্বাচনী এলাকায় সাগঠনিকভাবে সক্রিয় রয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ আসনের এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারাণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ব্যস্ততার মাঝেও মাঝেমধ্যে তার নির্বাচনী এলাকা সফর ও নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন। হাতিয়া আসনে এক সময় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে উঠলেও কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এক কথায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে অতীতের যে কোনো সময়ের চাইতেও শক্তিশালী।
হামলা, মামলা ও পুলিশী হয়রানির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বিএনপির। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবদুর রহমান জানান, নোয়াখালী পৌরসভা, নোয়াখালী সদর ও সূবর্ণচর এই তিন এলাকায় মামলা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। এছাড়া গোটা নোয়াখালীতে মামলা রয়েছে ১৫’শতাধিক। এসব মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২২ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মামলা ও গ্রেফতার এড়াতে অনেকে এলাকা ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশ অহেতুক বাধা প্রদান এমনকি লাঠিচার্জ করছে। প্রশাসনের একরোখা মনোভাব শুধু বিএনপির ওপর।
নোয়াখালী সদর আসনের সাবেক এমপি, তৃণমূল সমন্বয়ক ও বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান প্রতিমাসে একাধিকবার তার নির্বাচনী এলাকা সফর ও দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ তার নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জে গত ডিসেম্বরে আসেন। রাজধানীতে অবস্থান করলেও তিনি প্রতিনিয়ত এলাকার খোঁজ খবর রাখেন বলেন জানা গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু তার নির্বাচনী এলাকা বেগমগঞ্জে সফর ও দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় যুগ্ন-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুকও তাদের স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। গত সপ্তাহে হাতিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক এমপি প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চেীধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। কাউন্সিলারদের উপস্থিতিতে ফজলুল হক খোকন সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার তানভীর উদ্দিনকে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আশা করছেন নতুন কমিটির মাধ্যমে হাতিয়া বিএনপির রাজনীতি আরো বেগবান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।