Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিতে বার ও হোটেলে ঘুরে বেড়ায় করোনার রোগি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২০, ৫:২৩ পিএম

করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। এদিকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত এক জাপানি ব্যক্তি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বার ও হোটেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এমনটাই জানানো হয়েছে এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার ওই লোকের বাবা-মা দুজনেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতালের পরীক্ষায় ধরা পড়ে। পরের দিন তার জন্য উপযুক্ত মেডিকেলে কোনও স্থান না পাওয়া পর্যন্ত তাকে বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। জাপানের গামাগোরির শহরে এ ঘটনা ঘটেছে।
জাপানের সংবাদমাধ্যম ফুজি নিউজ নেটওয়ার্ক (এফএনএন) জানিয়েছে, ওই লোক এরপর পরিবারের একজন সদস্যকে জানান যে, তিনি ছোট উপকূলীয় শহরটির দুটি বার ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি পরিবারের ওই সদস্যকে সে সময় বলেন, ‘আমি ভাইরাস ছড়াতে যাচ্ছি’। টোকিও রিপোর্টার নামের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ব্যক্তির বয়স প্রায় ৫০। তিনি পায়ে হেঁটে একটি ‘পাব’এ যান। এরপর একটি ট্যাক্সি নিয়ে ফিলিপিনো বারে যান তিনি।
লোকটি সেখানে কয়েক ধরনের পানীয় পান ও খাবার গ্রহণ শেষে উপস্থিত অন্য কাস্টমারদের জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন (টেস্ট পজিটিভ হয়েছে)। এরপরে সেখানে উপস্থিত কর্মীরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে ডেকে আনেন। এরপরে সেখানে পুলিশ আসে। কিন্তু লোকটি ইতিমধ্যে একটি ট্যাক্সি নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
পরের দিন তাকে একটি চিকিত্সা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দুটি বার জীবাণুমুক্ত ও নির্বীজন (স্ট্যারিলাইজড) করা হয়েছে। নগরীর এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম এফএনএনকে জানিয়েছেন, ওই বার দুটির কর্মী ও গ্রাহকরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিন কিনা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্থানীয় মিডিয়াকে এক কর্মী জানিয়েছেন, আমি সেদিনের ঘটনার বিষয়টি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এ ঘটনায় আমার মাথায় সে সময় ভীষণ রাগ চড়েছিল।
এ বিষয়ে কর্মকর্তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শহরের মেয়র তোসিয়াকী সুজুকি এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি বাড়িতে অবস্থান করেননি। এটি অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয়। প্রসঙ্গত, জাপানে এক হাজারেরও বেশি নাগরিক কোভিড -১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এদের বেশিরভাগই ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ লাইনার জাহাজের যাত্রী ছিলেন। সূত্র : ইনডিপেন্ডেন্ট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ