বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোন বর্ষ পালন সফল হবে না। গতকাল শনিবার সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মরহুম নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
খালেদা জিয়া যখন কারাগারে তখন মুজিব জন্মশতবর্ষ কতটুকু সফল হবে বলে মনে করেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো শুধু সফলেরই প্রশ্ন না। এটা একটা মুকারি, প্রহসন। কারণ খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম ও লড়াই করেছেন। ১৯৭১ সালেও যিনি স্বাধীনতার জন্যেই কারাগারে ছিলেন পাকিস্তান বাহিনীর হাতে। তাকে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম ও লড়াই করতে হয়েছে। পরবর্তীকালেও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি এখনো কারাগারে আছেন। তাকে কারাগারে আটক রেখে কোনো বর্ষই এখানে সফল হবে না। খালেদা জিয়ার কারা অন্তরীণের মধ্যেই ‘মুজিব জন্মশত বর্ষ’ পালন হচ্ছে। এটা কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার যে সংগ্রাম যে যুদ্ধ এর মূল চেতনা ছিলো গণতন্ত্রের সংগ্রাম। গণতন্ত্রের যুদ্ধ এবং এটাকে কেন্দ্র করেই দীর্ঘকাল ধরে স্বাধীনতা দাবি উঠেছে। স্বাধিকারের আন্দোলন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে। তারই পরিণতি হিসেবে শহীদ পেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠি বা একটি দল কিন্তু এই স্বাধীনতার দাবিদার হতে পারে না।
তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে এই স্বাধীনতার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে। তারই ফলোশ্রুতি আমরা দেখেছি যে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে যার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মুজিব জন্মশত বর্ষ’ উপলক্ষে ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন যাবত দেশের ইসলামী দলগুলো বিক্ষোভ করছে। এই বিক্ষোভকে আপনারা কিভাবে দেখছেন? প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তো আমাদের বক্তব্য আগে বলেছি। খুব পরিস্কার করে বলেছি যে, দেশে বর্তমানে যে অবস্থা বিশেষ করে ভারতের এনআরসি-এসএসির পরে এরই মধ্যে যে দাঙ্গা হয়ে গেলো তার যে প্রভাব পড়েছে। সেই প্রভাবে নরেন্দ্র মোদির এখানে আসা কতটুকু সমীচীন শোভনীয় এটা তারাই বিচার করবেন।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম নবীন প্রার্থী। তার সম্পর্কে বিএনপি কতটা আশাবাদী? জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী একজন সংগ্রামী, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামী একজন নেতা এবং ধানমন্ডি বিএনপির সভাপতি। সে অবশ্যই তার এই যোগ্যতা প্রমাণ করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে বলে ইনশাল্লাহ। এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহসভাপতি নবী উল্লাহ নবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।