বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাপিয়া দম্পতির পাপপুরী রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বাইরে বিস্তৃত হলেও তাদের যাত্রা শুরু হয় নরসিংদী থেকেই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি ও মাদকের ব্যবসা তারা নরসিংদী থেকেই শুরু করে। একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তারা এসব ব্যবসায় লিপ্ত হয়। এই নেতার বাহিনীতে থেকেই সুযোগটি গ্রহণ করেছে সুমন। পরে পাপিয়াকে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে পাপের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। মালিক হয় শত শত কোটি টাকার, বাড়ি, গাড়ি, অবৈধ অস্ত্র ও অজস্র অবৈধ সম্পদের।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, ১৫/১৬ বছর বয়সেই সুমন নিহত মেয়র লোকমানের ভক্ত ছিল। লোকমান তার নেতৃত্বেই নরসিংদীতে গড়ে তুলেছিল একটি নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনী দিয়েই ’৯৯ সালে লোকমান সুমনকে নিয়ে আরেক সন্ত্রাসী মানিক কমিশনারকে হত্যা করে। মেয়র লোকমান নিহত হবার পর এই দলের নেতৃত্ব দেন তার ছোট ভাই মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। সুমন, মেয়র কামরুলের বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এ সময় সুমন, মিঠুন সাহার সাথে মিলে মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়। অবস্থা টের পেয়ে মিঠুন সাহা ভারতে পালিয়ে যায়।
পাপিয়াকে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে সুমন তার ব্যবসা আরও জোরদার করে। সুমন পাপিয়ার কেএমসি বাহিনী নরসিংদীতে অবাধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, দখলবাজি ইত্যাদি চালাতে থাকে। নরসিংদী থেকে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিসহ টেন্ডারবাজি করে লাখ লাখ টাকার মালিক হওয়ার পর সুমন ও পাপিয়া ঢাকায় গিয়ে এসব কোটি কোটি টাকার অবৈধ মাদক ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত করে। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চালায় নারী ব্যবসা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।