পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিশু জিহাদ হত্যা মামলা
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির পরিত্যক্ত পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের (৪) মৃত্যু মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার। গত ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দন্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে খালাস দিয়েছিলেন। বিচারপতি রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত এক রায়ে চার আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেন। সেই সঙ্গে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা,অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদন্ড দেন। খালাস দেয়া হয় মামলার দুই আসামিকেও। এ আদেশের বিরুদ্ধে দন্ডপ্রাপ্তরা আপিল করলে হাইকোর্ট বাকি চার আসামিকেও খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির পানির পাম্প বসানোর প্রকল্প পরিচালক রেলওয়ের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেএসআরের মালিক প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ওরফে শফিকুল ইসলাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ও ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ সাকী। আপিল শুনানিতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী,এসএম শাহজাহান,এম. সারোয়ার আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন এবং এম. আলী মর্তুজা। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নিজেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম। এ প্রতিবেদককে আমিনুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের মতামত দিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা ফাইল পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন,হাইকোর্টের আদেশে অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি। শাস্তিও দেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত : ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে মাঠে পাম্পের পাইপে পড়ে যায় শিশু জিহাদ। ২৩ ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর ২৭ ডিসেম্বর জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিথর দেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির ফকির ফৌজদারি আইনের ৩০৪ (ক) ধারায় (অবেহেলাজনিত মৃত্যু) শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। চার্জশিটে বলা হয়, এসআর হাউজ নামের প্রতিষ্ঠান শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠে একটি পানির পাম্পের ঠিকাদারি নিয়ে আনুমানিক ৬০০ ফুট কূপ খনন করে। কিন্তু কূপের মুখ খোলা রেখে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে অবহেলা ও তাচ্ছিল্যভরে তা দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। ফলে শিশু জিহাদ ওই স্থানে খেলা করতে গিয়ে পাইপের ভেতরে পড়ে মারা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।