বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় দফা হামলার ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুইজন ছাত্র পালিয়ে গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জিঙ্গাসাবাদের জন্য ১১ জনকে আটক করেছে। আহত উজ্জ্বলের কাছ থেকে একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বর্তমানে জেলা কমিটিবিহীন ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে নতুন কমিটির সভাপতি সম্পাদক পদ নিয়ে আশিক গ্রুপ ও পারভেজ গ্রুপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তাদের মধ্যকার বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী আশিক জানান তার সমর্থিত ইব্রাহীম, হাসানুজ্জামান নিশান ও সাকিবসহ কয়েকজন ছাত্র আজ শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বসে গল্প করছিল্ । এ সময় পারভেজ গ্রুপ সমর্থিত ফরহাদের সাথে সিগারেট খাওয়া নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ছুরিকাঘাত করে হামলার ঘটনা ঘটে।
পারভেজ গ্রুপ সমর্থকরা জানান আনোয়ার সুমন, দেলোয়ার, আশিক, আদনান এই হামলার জন্য দায়ী। এতে কলেজ ছাত্র উজ্জ্বলসহ কয়েকজন আহত হন। উজ্জ্বল জানান, আশিক গ্রুপ সজীব ও ফরহাদকে মারপিট করছিল। উজ্জ্বল তাদের ঠেকাতে গেলে তিনিও আহত হন।
উজ্জ্বল অভিযোগ করে বলেন তাদেরকে মারপিটের পর তারা হাসপাতালে গেলে সেখানে আরো এক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন হাসপাতালের বেড ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তবে আশিক গ্রুপ জানিয়েছে, তার সমর্থকরা পারভেজকে গালাগাল করেছে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সদর থানা পুলিশের এসআই নুর আলম জানান একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। লিজা নামের ওই মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১১ জনকে।
আহত ইব্রাহিম জানান, সকালে তার বেস্ট ফ্রেন্ড লিজা নামের একটি মেয়েকে নিয়ে কলেজ লেকে বসা ছিলো। পাশে ফরহাদসহ তিনজন গাজা খাচ্ছিলো। তারা তাদেরকে গাজা সেবনে নিষেধ করলে ফরহাদ উজ্জলকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই উজ্জল তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।